সেদিন নীপা আর এল না।
পরের দিন ও এল না। তার পরের দিন সকালে যখন আমি ভাবছি নীপা বোধায় খুব রাগ করেছে
তখনই ঘরের দরজা খুলে নীপা ঢুকে এল। নীপার কাছে আমার ফ্ল্যাটের চাবি থাকে। দেখলাম
নীপার মুখ চোখ পালটে গেছে। মুখে কোনও কথা নেই। ঢুকে এসে দরজা টা বন্ধ করে আমার
কাছে এগিয়ে এসে আমার গালে একটা প্রচন্ড চড় মারল। তারপর আমার গেঞ্জিটা খামচে ধরে
বেডরুমে নিয়ে গিয়ে এক ধাক্কায় আমায় বিছানায় ফেলে দিয়ে আমার ওপর চড়ে বসল। তারপর
আমার দুহাত দুপাশে চেপে ধরে আমায় এলোপাথাড়ি চুমু খেতে লাগল। আজ আমার অবাক হওার
পালা। হোলটা কি নীপার। (পরে বুঝেছিলাম সব আমার দোষ। আমিই এতদিন ধরে ফুলতে থাকা
বেলুনটায় একটা আলপিনের খোঁচা মেরে ফেলেছি। নীপার সঙ্গে ন্যাপলা দার সম্পর্ক প্রায়
ভাই বোন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই সময়ে আমি আসি নীপার জীবনে। নীপা চড়টা আমার চুমু
খাওয়ার জন্যে মারেনি। চুমু খেতে এত দেরি করার জন্যে মেরেছিল) । সেদিন আমরা প্রথম বার শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ
হলাম। সেই ঘটনার বিস্তৃত বিবরণ এখানে আর দিলাম না, শুধু এটুকু বলতে পারি, আমি ওকে
ভোগ করেছিলাম না ও আমায় সেটা ঠিক বুঝতে পারিনি। কিন্তু সেদিনের পর থেকে আমার আর
নীপার মধ্যে কোনও আড়াল রইল না। এমনকি তারপর থেকে দুজন দুজনের সামনে উলঙ্গ হওয়া বা
শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়াটা যেন স্বামী স্ত্রীর থেকেও বেশি স্বচ্ছন্দ হয়ে গিয়েছিল।
এরপর সুযোগ বুঝে কথাটা পাড়লাম। “নীপা, আমি তোমার একটা ফটোশুট করতে চাই”। নীপা
আপত্তি করেনি। কিন্তু কিছু বলেও নি। বুঝলাম একটু বেশি গম্ভীর ভাবে বলে ফেলেছি
কথাটা। ওইভাবে না বলে একেবারে ক্যামেরায় ধরে ফেলতে হবে নীপা কে। (পাঠকের যদি মনে
হয় আমি নীপাকে নিয়ে খেলছিলাম তাহলে কিন্তু ভুল করবেন। আমার জীবনে নীপা ছাড়া কেও
ছিল না। মাথায় মনে শরীর জুড়ে শুধু নীপাই ছিল। যদিও পরিণতির কথা তখনও আমাদের দুজনের
কেওই ভাবছিলাম না। তবে আমি এবং নীপা দুজনেই খুব ভালো করে জানতাম আমাদের সব সমস্যার
সমাধান হল টাকা। আর নীপার শরীর টা যে টাকা ছাপার মেসিন সেটা নীপা না বুঝলেও আমি
বুঝছিলাম কারণ নীপার ফেসবুক প্রোফাইলে নীপার ফ্যান দের লিস্ট লম্বা হচ্ছিল। তাদের
মধ্যে দু একজন মডেলিং ও অভিনয় জগতে যথেষ্ট খ্যাতনামা)। প্রথম যে অফারটায় নীপা রাজী
হয়েছিল সেটার কথায় পরে আসছি তার আগে আরেকটি ঘটনার উল্লেখ করতে হয়। নীপার চুল আবার
ততোদিনে ওর পাছা ছাপিয়ে ওর ঊরু ঢেকে দিচ্ছে। মুখের সামনের চুল কাঁধ অব্দি নেমে
এসেছে। কিন্তু তখনও নীপাকে শাড়ী ছাড়া কিছু পরতে দেখিনি। চিন্তাটা আমার মাথায়
প্রথমদিন থেকেই ছিল। আমাদের প্রোডাক্সান হাউসে যে জামা কাপড় সাপ্লাই দিত সেই
সাপ্লায়ার কে ধরে নীপা কে না জানিয়েই কিছু খোলামেলা পোশাক জোগাড় করেছিলাম। এক
বৃষ্টি ঝরা জুনের সন্ধ্যায় বেশ রোম্যান্টিক কিছুক্ষন সময় কাটানোর পর নীপাকে জামা
কাপড় গুলো ধরিয়ে দিয়ে পরতে বলেছিলাম। পাঠক রা কল্পনা করতে পারবেন কিনা জানিনা,
নীপাকে এই রূপে প্রথম দেখলাম। দেখেই বুঝলাম ভুল হয়েছে। নীপার শরীর সুন্দর হলেও ওই
পোশাক পরার জন্যে আরেকটু ঘষা মাজার প্রয়োজন আছে। পেডিকিওর মানিকিওর ইত্যাদি ছাড়াও
নীপার নিজের কিছু সময় দরকার ওই পোষাকে স্বচ্ছন্দ হওয়ার জন্যে। বিশেষ করে ওই
পেন্সিল হিল পরতে হলে নীপার সময় চাই। এমনিতেই নীপার উচ্চতা ৫’৬” তার ওপরে ওই
পেন্সিল হিল আর অ্যাসিমেট্রিক মিডিয়াম স্কার্ট আর অর্ধেক বুক ও পুরো পিঠ খোলা টপ
আর ওই অসাধারন খোলা চুলে নীপাকে কিরকম লাগতে পারে, পাঠক কল্পনা করার চেষ্টাও করবেন
না, নয়ত আপনার অবস্থা আমার থেকেও ভয়ানক হওয়া স্বাভাবিক। আমার হাতের কাছে তাও নীপা
স্বয়ং ছিল তাতেই যদি আমার মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় হয় আপনারা তো তাকে দেখেন ও নি।
না জানি কি কল্পনা করবেন। দিন সাতেক সময় লেগেছিল। নীপাকে তৈরি হতে। তবে খুব
তারাতারি শিখে নিয়েছিল। এর মাঝে ওর চুল আমি আরেকবার ট্রিম করেছিলাম, যদিও আগেরবার
কাটার সময় বলেছিলাম পরের বার ছোট করব, আর এবার নীপার আপত্তি ছিল না, তবু বিশেষ ছোট
করলাম না। পিছন টা ভি সেপ করলাম জার ডগাটা ঠিক দুই পাছার মাঝের খাঁজে গিয়ে শেষ হয়। আর সামনের চুল আবার চোখ অব্দি কেটেছিলাম।
আরেকটা কাজ করেছিলাম, চুলটা স্ট্রেট করে দিয়েছিলাম, আর ডার্ক চকলেট কালার করে
দিয়েছিলাম। এরপর নীপার সঙ্গে বাইরে বেরোলে ন্যাপলা দা কেন নীপা নিজেকেও চিনতে পারত
না আয়নায় দেখলে। হাল্কা মেকআপ যথেষ্ট ছিল নীপাকে অসাধারণ দেখানর জন্যে। কিছু ফটো
তুলেছিলাম নীপার ক্যাজুয়াল পোজে তাতেই ফেসবুক তোলপাড় পরে গেল। ঠিক সেই সময়ে এলো
অফারটা যেটা আমার আর নীপার দুজনেরই জীবন বদলে দিল। আমাদের পতন সম্পূর্ণ হয়েছিল।
দুজনেই বুঝলাম এবার উত্থানের সময়। এতদিন আমি নীপাকে পথ দেখাচ্ছিলাম এবার নীপার
ওড়ার সময়, আমি শুধু সঙ্গে থাকবো।
Great!! So now any new story coming......??
ReplyDeletenew story coming??
ReplyDeletewaiting for your new story
ReplyDeleteWaiting for new stories
ReplyDelete