8
আমার মোবাইলে তোলা নীপার ছবি গুলো ফেসবুকে নীপার একটা প্রোফাইল বানিয়ে তাতে
দিয়েছিলাম। কয়েক দিনের মধ্যেই দেখলাম দেখতে দেখতে নীপার প্রোফাইল ফ্যানে ভরে গেল।
যদিও নীপা কিছুই জানত না। আমিই ওর প্রোফাইল মেন্টেন করতাম। আরেকটা জিনিস লক্ষ্য
করছিলাম নীপা আমার ফ্লাটে আরও বেশি বেশি সময় কাটাতে লাগল। যদিও কখনও রাতে থাকতো
না। কিন্তু আমার ধারণা ন্যাপলা দা নীপাকে বেশি কৈফিয়ত চাইতো না। কয়েক মাসের মধ্যেই
নীপা ছেলেকে বোর্ডিং এ পাঠিয়ে দিল। নীপার মধ্যে একটা পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছিলাম।
পরিবর্তন শুধু ওর চুলে হয়নি। চুলের সঙ্গে সঙ্গে যেন ও আগের আড়ষ্টতা ও কেটে
ফেলেছিল। আমার সঙ্গে ওর ঘনিষ্ঠতা বাড়ছিল। যদিও সেটা আমিই হয়ত শারীরিক হতে দিইনি। ওর
দিক থেকে কোনও আপত্তি ছিল বলে মনে হচ্ছিল না। আমি একদিন খোলাখুলি জিগ্যেস ই করে
ফেললাম, ব্যাপারটা কি। জানলাম ন্যাপলা দার সঙ্গে নীপার দূরত্ব এতটাই বেড়েছে যে
ন্যাপলা দা ওকে সন্দেহ করতে করতে কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছে। ভগবান সাক্ষী সেদিন
আমার ন্যাপলা দার থেকে নিজের ওপর রাগ বেশি হয়েছিল। তার আগে অব্দি আমি নীপার শরীরের
দিকে নজর দিই নি। সেইদিন আমি নীপাকে বাড়ি যেতে দিলাম না। বললাম তুমি আজ আমার সঙ্গে
রাত কাটাবে। ন্যাপলা দা যদি এমনি এমনি ই তোমায় সন্দেহ করে তবে তাকে তার মত থাকতে
দাও। নীপা খুব আপত্তি করেছিল কিন্তু শেষ অব্দি কান্না আটকাতে পারেনি। খুব কেঁদেছিল
সেদিন। রাতে আমরা এক বিছানায় জেগে রাত কাটালাম। নীপার মাথা আমার বুকে চেপে ধরে।
সেই আমাদের পাপের শুরু। এরপর থেকে আস্তে আস্তে নীপা আর আমার বন্ধুত্ব আসতে আসতে
লিভ টুগেদার হয়ে দাঁড়াল। যদিও তখনও আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়নি।
অফারটা এল এক প্রোডিউসারের কাছ
থেকে। একটা অ্যাড ফিল্ম। শ্যাম্পুর অ্যাড। নীপাকে বলতেই না করে দিল। ও ওসব অ্যাড
করবে না। তখনও নীপা ওর ফেসবুক প্রোফাইলের কথা যদিও জানত না। সেদিন ওকে বলতে প্রথমে
খুব রেগে গেল। তাতে আমারও রাগ হল। নীপা কম সুন্দরী নয়। সাজলে ওকে যেকোনো সুপার
মডেলের থেকে কম কিছু লাগে না। তাহলে দেখাতে আপত্তি কোথায়? নীপাকে বলতে ও ছেলের কথা
তুলল। “ছেলে বড় হচ্ছে। লোকে কি বলবে। ছেলে কি ভাববে। তোমার দাদার কথা না হয় ছেড়েও
দিলাম, পাড়ায় মুখ দেখাবো কি করে”। আমিও ছেলের কথাই বললাম। “তুমি কত মাইনে পাও? দু
পয়সা বেশি রোজগার করলে প্রবলেম টা কোথায়? তুমি তো অন্যায় কিছু কোরছ না”। তাও নীপা
চুপ করেই রইল। আমিও ছাড়বার পাত্র নই। দুদিন ঘ্যানঘ্যান করার পর তিন দিনের দিন
নীপাকে মানানো গেল। কিন্তু ওর শর্ত, ও খোলামেলা পোশাক পরবে না। ওর এই একটি কথা
আমার মাথায় সব ওলট পালট করে দিল। সেই রাতে অনেক ভাবলাম, নীপা শরীর দেখাতে চায় না।
কাউকেই না? নাকি আমায় দেখাবে। যদি আমি ওর ফটো তুলি? বহুদিন ধরে আমার ক্যামেরায় হাত
পাকানোর ইচ্ছে। সামনে এত সুন্দর মডেল থাকতে আমি কিনা সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট
ম্যানেজার? না। আর করব না। মাথায় বুদ্ধি এল। নীপা ভালো মডেল। ফেসবুকে ওর ফ্যান সংখ্যা এতদিনে বেস ফুলে উঠেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই আছে
যারা প্রয়োজন হলে নীপার ছবি পয়সা দিয়ে কিনতেও ইচ্ছুক। কেমন হবে যদি আমি নীপার ছবি
বিক্রি করি? সেই শুরু নীপার প্রতি আমার শরীরের টান। তারপর মাথায় ভাবনা এল। আচ্ছা,
নীপা যদি রাজি না হয়? রাজি হবে না মানে? চুলের মুঠি ধরে রাজি করাবো।
পরের দিন নীপা কে দেখেই মনে হল এ নীপা সেই
নীপা নয়। নীপা আমার ঘরে এসেছিল সকাল সকাল। কি যেন ফেলে গিয়েছিল। নিয়েই কাজে
বেরোবে। আমি সদ্য বিছানা ছেড়ে উঠেছি। ঘুম চোখে ড্রয়িং রুমে বেরিয়েই নীপা কে দেখে
মাথাটা ঘুরে গেল। নীপা মন দিয়ে ড্রয়ারে কি খুঁজছিল। পড়নে নীল তাঁতের শাড়ী। সবুজ
ব্লাউজ। চুল শুকয়নি ঠিক করে তাই তুলে খোঁপা করা। ভিজে চুলের খোঁপা সাধারণত শুকনো
চুলের থেকে ছোট হয়। কিন্তু নীপার চুল এতটাই ঘন যে তাতেই খোপাটার সাইজ খুব ছোট নয়।
যদিও আমি ওর চুল অনেকটা কেটে দিয়েছিলাম তবু সে ও প্রায় মাস খানেক হয়েছে। একমাসে
চুল বেশী বারার কথা নয়। কিন্তু ওর কপালের চোখ ঢাকা চুল বড় হয়ে প্রায় চিবুক অব্দি
নেমে এসেছে এর মধ্যেই। ব্লাউজটার পিঠ অনেকটা খোলা। আমি ভাবছিলাম এই দৃশ্য পয়সা
দিয়ে দেখতেও লোকেরা রাজি। কি লাগছে নীপা কে। জিগ্যেস করলাম “খুব ব্যাস্ত?” বলল দেখ
না কাল চুলের ক্লিপ টা কোথায় রেখেছি খুজে পাচ্ছি না। অফিসে দেরি হচ্ছে।এবার আর
পারলাম না। ওর কাছে এগিয়ে গিয়ে ওর খোঁপা টা খামচে ধরে আমার দিকে ঘুরিয়ে ওর ঠোঁটে
আমার ঠোঁট চেপে ধরলাম। ও কিছু বোঝার আগেই বুঝলাম ওর চোখ বন্ধ হয়ে এসেছে, নিশ্বাস পরছে
জোরে জোরে। পেট কাঁপছে। ওর হাঁটু ও কাঁপছে। আমি ছারলাম না। আমারও হার্টবিট বেড়ে
গেছে। ওর খোঁপা টা খুলে পড়েছিল ওর গোটা শরীরে। ওকে ছেড়ে দিতে দেখলাম ওর সামলাতে
সময় লাগলো। তারপর কিছু না বলে ওর হাতব্যাগ টা তুলে নিয়ে ঠোঁট টা মুছে নিয়ে ঘর থেকে
বেরিয়ে গেল। কোনও কথা বলল না। আমার দিকে তাকাল ও না।
baah koto din por elo new story. nice writing though
ReplyDeleteফাটাফাটি এগোচ্ছে দাদা, আরো লিখুন
ReplyDelete