Friday, September 23, 2016

নীপা (পরিচয় ও প্রথম অভিযান)

প্রথম যখন ন্যাপলা দার বৌ নীরা বৌদিকে দেখি খুব একটা কিছু মনে হয় নি সাধারণ ঘরের মেয়ে বিয়ের পর আরেক সাধারণ ঘরে গেলে যেমন দেখানো উচিত তেমনি অল্প ঘোমটা দিয়েছিল যেদিন প্রথম ন্যাপলা দার বৌ দেখতে যাই ন্যাপলা দার বৌ নয় তবে নীরা বৌদিকে দেখতে যাওয়ার কথা এখনও মনে আছে তার একটা কারণ আছে
 ন্যাপলা দার বাড়ির অবস্থা ভালো নয় তাই বিয়ে হয়েছিল গ্রামে, নিমন্ত্রিত দের লিস্ট এতটাও লম্বা ছিল না যে আমাদের ডাক পরতে পারে অতএব ন্যাপলা দা বিয়ে করে বৌ নিয়ে যখন কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের ঘোষ পাড়ার ভাড়া বাড়িটায় বৌকে নিয়ে এসে উঠল তখন এই আমরা কয়জন বন্ধুস্থানীয়রা ভাবলাম ন্যাপলা দার নাহয় অবস্থা খারাপ নেমন্তন্ন করতে পারেনি কিন্তু তাই বলে বৌ দেখতে খালি হাতে যাওয়াটা ভালো দেখায় না কিন্তু কি গিফট দেওয়া যায় ঠিক করা গেল না আবার ন্যাপলা দা স্বভাব সিদ্ধ লাজুক হেসে যখন বৌ দেখতে যেতে নেমন্তন্ন করল তখন না গেলে সত্যি খারাপ দেখায়  জনা সাতেক কুড়িয়ে বাড়িয়ে চাঁদা উঠল পাঁচেক অবশেষে পাড়ার আরেক বৌদি কে ধরা হল কি দেওয়া যায় সেই বুদ্ধি ধার চাওয়ার জন্যে তিনিও তেমন কিছু উপদেশ দিতে পারলেন না আজকের বাজারে অত কম পয়সায় কি হয় শেষে দেওয়া হয়েছিল একটা হটপট
অল্প ঘোমটা দিয়ে অল্প হেঁসে সবাইকে মিষ্টি খাইয়েছিল নীরা বৌদি তবে আজ মনে হচ্ছে সেদিন কিছুই দেখিনি সেদিন বলছি বটে তবে সেও বছর ছয়েক হতে চলল ইতিমধ্যে আমার অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে আমি আর বেকার নই এক নামী ফিল্ম কোম্পানির প্রোডাকশন মানেজারের অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ জুটে যায় তারপর মাসে মোটামুটি ভালোই উপার্জন হচ্ছিলঘোষ পাড়া ছেড়েছি বছর চারেক। এখনও বিয়ে হয়নি। তবে সেটা আমিই হতে দিইনি। ন্যাপলা দার নীরা বউদিদের সঙ্গে দেখা নেই আজ বছর চারেক। ন্যাপলা দা এম জি রোডে একটা ওষুধের দোকানে কাজ করতো। রাস্তার ওপরেই দোকান ছিল। ও রাস্তা দিয়ে গেলেই একবার চোখ চলে যাবেই দোকানটার দিকে। প্রায়ই ন্যাপলা দাকে দেখতে পেতাম না দোকানে। হয় কোথাও মাল আনতে পাঠানো হতো কিম্বা কোনও কাজে। মোদ্দা কথা সারাদিন দৌড়ঝাঁপের কাজ করতো ন্যাপলা দা। গতসপ্তাহে ওই রাস্তা দিয়ে বাসে চড়ে যেতে যেতে চোখ পড়তে দেখলাম দোকান বন্ধ, কি কাজ হছে। বোধায় সারাই হচ্ছে আজকাল তো সব দোকানই ঝাঁ চকচকে করে রিমডেলিং হচ্ছে। তেমনি কিছু হবে। ভেবে ভালো লাগলো ন্যাপলা দার এবার মাইনে বাড়বে। অবস্থা টা একটু শুধরবে। ভেবেই মনে হল আজ তো তেমন কাজ নেই। রাত্রের মধ্যে লোকেসানে পৌঁছালেই চলবে। হাতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় আছে। একবার দেখা করে গেলে কেমন হয় ন্যাপলা দার সঙ্গে। যেমন ভাবা অমনি কাজ। নেমে পরলাম বাস থেকে। হাঁটা পথে মিনিট পনেরো। গিয়ে হাজির হলাম ঘোষ পাড়ায়। পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানটায় উঁকি মেরে চেনা মুখ কাউকে খুঁজে পেলাম না। একজন অতি উৎসাহী আমারই বয়েসি ছেলে জিগ্যেস করল কাউকে খুঁজছেন? বললাম, না আসলে আমি আগে এই পাড়ায় ভাড়া থাকতাম তাই এইদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম ভাবলাম একবার দেখে যাই। বসে একথা সেকথা হতে হতে ন্যাপলা দার কথা উঠতে দেখলাম তিনিও চেনেন ন্যাপলা দাকে। ছেলে হয়েছে নাকি বছর তিনেক হল। শুনে বেশ লাগলো। দেখা করার ইচ্ছেটা আরেকটু বেড়ে গেল। উঠে পরলাম চায়ের দোকান থেকে এক প্যাকেট মিষ্টি কিনে ন্যাপলা দার দরজায় কড়া নাড়তে বৌদি দরজা খুলল। সন্ধ্যে হয়ে গেছে। বৌদি বোধায় সন্ধ্যে দিচ্ছিল। আমায় দেখে চিনতে পারল না। বলল কাকে চাই? বললাম ন্যাপলা দা নেই? আমায় আপনার বোধায় মনে নেই। নিজের পরিচয় দিতে আর সেই দেখতে আসার গল্প বলতে নীপা বৌদি এক মুখ হেসে ভেতরে ডাকল। ভেতরে ঢুকে আমার মন টা খারাপ হয়ে গেল। ন্যাপলা দা বিছানায় শুয়ে। দেখলে বলে দিতে হয় না রীতিমত অসুস্থ। কি হয়েছে জিগ্যেস করতে হল না। বৌদি নিজেই বলল আজ দশদিন হল জ্বর কমছে না। হমিওপ্যাথি ডাক্তার দেখানো হয়েছে। ভালো ডাক্তার দেখানোর পয়সা নেই। ন্যাপলা দার চাকরি নেই আজ মাস দসেক। ছেলেটি কে দেখলাম বেশ ফুটফুটে। ওদের দেখে মায়া হল। সঙ্গে সঙ্গে বাক্য ব্যয় না করে একটা রিক্সা ডেকে ন্যাপলা দাকে নিয়ে ডাক্তার হরিপদ খাসনবিশের কাছে দেখিয়ে ওষুধ কিনে বাড়িতে পৌঁছে দিতে দিতে রাত আটটা। তার পর স্বাভাবতই আর বসার সময় হয়নি। বৌদি কোনও কথা বলেনি। তবে ওর চাহনিতেই ওর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পাচ্ছিল।
তারপর রেগুলার খোঁজ নিতাম, ন্যাপলা দার চিকিৎসার জন্যে কিছু টাকা দিয়ে এসেছিলাম। আর বলে এসেছিলাম লাগলে যেন বৌদি অবশ্যই জানায়। আর লাগেনি ওষুধ পরতেই ন্যাপলা দা আবার সুস্থ হয়ে উঠতে লাগল। কাল আবার গিয়েছিলাম ন্যাপলা দাকে দেখতে। আর কাল দেখে এসেই আমার আজ মনে হল এই এতদিন আমি নীপা বৌদিকে ঠিক করে দেখিনি আজ অব্দি নাহলে এ জিনিস আমার চোখ এরিয়ে যেতেই পারেনা।
গতকাল ছিল রবিবার। সকাল সকাল গিয়েছিলাম ন্যাপলা দার বাড়িতে, ইচ্ছে ছিল সারাদিন থেকে বিকালে ফিরবো। গিয়ে দেখি ন্যাপলা দা চায়ের দোকানে বসে। বললাম করছ কি তোমার না শরীর খারাপ। ধরে নিয়ে চললাম বাড়ি। বাড়িতে ঢুকতেই কথার খেই হারিয়ে ফেললাম নীপা বৌদি কে দেখে। সেই সাধারণ মুখ সেই লম্বা রোগাটে গড়ন পার্থক্য করে দিয়েছে একটা জিনিস। নীপা বৌদির চুল। বোধায় স্নান করে বেরিয়েছেন সদ্য চুল ভিজে আর বাঁ দিক দিয়ে সামনে নেওয়া চুলের গোছাটা প্রায় সমস্ত শরীরই ঢেকে দিয়েছে। কি দারুন চুলের গোছা। হাত দিয়ে টেনে দেখতে ইচ্ছে করে আসল কিনা, সন্দেহ হয় টান দিলে হয়ত খুলে আসবে হাতে। সস্তা শ্যাম্পুর গন্ধে সামান্য ঘরখানি ভরেছিল মনে হচ্ছিল নীপাদির রুপে সামান্য নিম্নবিত্ত ঘরখানি রাজমহলে পরিনত হয়েছে। অবাক হয়ে নীপাদির দিকে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে থাকার পর চোখ সরিয়ে নিলাম। নীপাও বোধায় বুঝল ব্যাপারটা তাড়াতাড়ি চুলের গোছাটা ছুড়ে দিল পিছনদিকে। আমি সামলে নিয়ে বললাম করেছ কি বৌদি। দাদাকে এই শরীরে বাইরে যেতে দিলে? নীপা যেন একটু লজ্জা পেয়ে বলল তোমার দাদা কি আমার কথা শোনে? একটু সুস্থ হয়েছে কি আবার চরকিবাজি শুরু। আমি বললাম ওসব একদম চলবে না। দাদাকে বলে দাও। নীপা হাসল তারপর ভেতরে চলে গেল রান্নাঘরের দিকে। আমি কাল সপ্তাহের বাজার করে আনলাম। নীপা তখন কিছু বলেনি। ন্যাপলাদা স্নান করতে ঢুকতে আমার কাছে এসে চুপিচুপি এসে দাঁড়াল। আমি ন্যাপলা দার ছেলের সঙ্গে খেলছিলাম। আমার কাছে এসে ছেলেটিকে কি এক বাহানায় বাইরে খেলতে পাঠিয়ে দিয়ে আমার সামনে এসে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল। আমি বড় অপ্রস্তুত বোধ করে জিগ্যেস করলাম কাঁদছ কেন বৌদি? ও বলল ভগবান তোমায় পাঠিয়েছে ঠাকুরপো। নিজের পেটের ভাই এত করেনা তুমি ওর জন্যে যা করছ। আমি মাথা নিচু করে রইলাম। ও বলেই চলল, তোমায় কি দিয়ে শোধ করব জানিনা। তবে এতটা যখন করেছ তখন আরেকটা উপকার করে দাও। আমায় একটা কাজ খুঁজে দাও। ওর এই দশ মাস চাকরি নেই। কি করে সংসার চলছে আমি জানি। যা হোক একটা কিছু। আমি বললাম বৌদি আমি তো ফিল্ম লাইনের লোক ওই লাইনের সব কাজ কি তুমি পারবে? আচ্ছা দেখবো কি করা যায়। তুমি চিন্তা কোরও না। আর একটা কথা বলব বৌদি? নীপা অপ্রস্তুত হয়ে বলল ওমা বল না। আমি এতক্ষন ধরে যে কথা গুলো চেপে রেখেছিলাম হরহর করে বলে দিলাম। প্রথমে ওর রূপের একগাদা সত্যি মিথ্যে প্রসংসা করে চুলের প্রসঙ্গ তুললাম তোমার চুল যে এত সুন্দর আগে লক্ষ্যই করিনি নীপা দেখলাম কোনও রকম অপ্রস্তুত তো হলই না বরং মনে হল বেশ সচ্ছল ভাবেই কথোপকথন এগোতে চাইছে ও বলল আর বোলো না এতদিন ভালোই ছিল এখন রাফ হতে শুরু করেছে আর অত যত্ন ও হয় না ভাবছি কেটেই ফেলি আমি শিউরে ওঠার ভান করে বললাম খবরদার না এতো সুন্দর চুল কেও কেটে ফেলে? তুমি পরিচর্যা করো কিছু লাগলে আমায় বোলো নীপা হাসল আমি এবার সাহস করে বলেই ফেললাম, বৌদি তোমার চুলে হাত দিতে পারি? এতো সুন্দর চুল আমি আগে দেখিনি আমার হাত দিয়ে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে নীপা একটু হেসে বলল দাও না। তবে আমায় বৌদি না বলে নীপা বললে বেশি খুশি হব। আমি তোমার চেয়ে বয়সে ছোট না হলেও বড় অবশ্যই নইএরপর আমার দিকে পিছন করে মাথাটা অল্প পিছনে হেলিয়ে বলল হাত দাও। আমি দু হাত সবে মাত্র ওই চুলের গোছার দিকে বাড়িয়েছি ওমনি বাথরুমের দরজা খোলার আওয়াজ হল। তাড়াতাড়ি হাত সরিয়ে নিতে হল। আর কোনও কথা হল না।

এরপর ন্যাপলা দা ও একটু সুস্থ হয়ে উঠতে লাগল নীপা কেও আমাদের কোম্পানির ক্যান্টিনে একটা কাজ যোগাড় করে দিয়েছিলাম মোটামুটি যা মাইনে পেত তাই থেকেই জমিয়ে ন্যাপলাদাও একটা চায়ের দোকান খুলল বছর দুয়েকের মধ্যে ওদের অবস্থা অনেকটা সামলে উঠল আর আমার সঙ্গে ওদের বিশেষ করে নীপার সম্পর্ক অনেক সহজ হয়ে উঠেছিল এমন অনেক কথা যেগুলো অ ন্যাপলা দা কেও বলতে পারতো না সেগুলো আমায় বলত পরামর্শ চাইত কিম্বা অভিযোগ জানাত মাঝেসাঝে আমার ফ্লাটেও আস্ত কাজ থেকে ফেরার রাস্তায় একসঙ্গে আসতাম সব সময় বোধায় ও ন্যাপলাদাকেও জানাত বলে আমার মনে হয় না প্রায় প্রতি সপ্তাহেই একবার করে আমার ফ্লাটে আসত ঘর টর গুছিয়ে পুরনো জামা কাপর টুকটাক কেচে ধুয়ে দিত বারন করলেও শুনত না তেমনি এক শনিবার তারাতারি ছুটি হওয়াতে দুজনে গল্প করতে করতে বেরিয়ে কখন আমার ফ্লাটে পৌঁছে গেছি আমি বুঝতেই পারিনি নীপাকে বললাম এসো ভিতরে ও বলল না আজ বড্ড মাথা ধরেছে আজ আর যাব না বললাম তাহলে তোমায় বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসি? ও বলল তার নাকি প্রয়োজন নেই সকালে অনেক ভোরে ওঠা হয়েছে ভিজে চুলে খোঁপা করে কাজে যাওয়া তাতেই মাথা ধরেছে ভিজে চুলের কথাটা উঠতেই আমার লোভ হল আমি ওকে একরকম জোর করেই যেতে দিলাম না বললাম আমার ফ্ল্যাটে একটা ওষুধ আছে মাথা ব্যাথা না সেরে উপায় নেই দেখলাম ও বিশেষ কোনও আপত্তি করল না হেসে বলল চলো দেখি তোমার কি ওষুধ আছে ওকে ঘরে এনে বসতে বলে রান্নাঘরে গিয়ে খুব কড়া করে দু কাপ চা করে এনে বললাম নাও ও খুব একচোট হেসে নিয়ে বলল এই তোমার ওষুধ? আমি বললাম না এটা ওষুধের অর্ধেক ও কিছু না বুঝে বলল, মানে? আমি একটু রহস্য করে বললাম মানে আজ তোমার মাথায় ব্যাথাও সারবে আর আমার বহুদিনের একটা সাধও পুরন হবে। ও কিছু বুঝল না। আমি উঠে ওর পিছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। ও একটা উঁচু চেয়ারে বসেছিল। ওর চুল মাথার পিছনে খোঁপা করাখোঁপা টা কাপড়ে ঢাকা। ওটাই ওর অফিস যাওয়ার সাজ। আমি একটা গামছা টেনে নিয়ে ওর খোঁপার ওপর থেকে কাপড় টা সরিয়ে কাঁধে গামছা টা ঢেকে দিয়ে বললাম, রিলাক্স। চা খাও। বলে ওর কাঁধে ম্যাসাজ করা শুরু করলাম। দেখলাম ও বেশ আরাম পেয়েছে। প্রায় মিনিট দশেক কাঁধ ম্যাসাজ করার পর আমি ওর খোঁপায় হাত দিলাম। প্রথমে একটু অপ্রস্তুত হয়ে সোজা হয়ে রইল। আমি কোনও রকম অস্বস্তি প্রকাশ না করে খোঁপাটা খুলতে খুলতে বললাম সেবার আমার তোমার চুলটা নেড়ে চেড়ে দেখার ইচ্ছে পুরন হয়নি, আজ সুযোগ এসেছে, আজ তোমায় পৃথিবীর সেরা হেড ম্যাসাজ দেবো, বলে খোঁপাটা খুলে দিলাম। নীপার চেয়ার টা বেশ উঁচু তবু ওর ঘন চুল ভালো ভাবেই মেঝে ছুঁয়েছে। প্রায় লুটানোই বলা চলে। তবে মাঝে সাঝে শ্যাম্পু করা ছাড়া আর যে কোনও যত্ন হয় না সে দেখলেই বোঝা যায়। ও একটু চমকে উঠেছিল, মৃদু আপত্তি করল, কি পাগলামি করছ? কে এসে পড়বে... আমি বললাম আমার ফ্ল্যাটে কেও আসবে না তুমি খুব ভালো করে জানো। তবু যদি কেও আসে তাহলে সে নিশ্চয়ই ভিতরে ঢুকবে না। সুতরাং ভিতরের ঘরে গেলে আর তোমার আপত্তির কারণ থাকে না। আর যদি তুমি চাও আমি তোমার চুলে হাত না দিই তাহলে অন্য কথা, ও তারাতারি আমায় থামিয়ে দিয়ে বলল না না তুমি আমার চুলে হাত দিলে আমার আপত্তি কেন থাকবে। দামী পার্লারে তো অচেনা ছেলেরা মেয়েদের চুলে হাত দেয়। আর তুমি তো আমাদের এতো কাছের লোক। আমি বললাম তবে আপত্তি কেন করছ? এসো ভিতরের ঘরে। ভিতরের ঘর টা আমার শোয়ার ঘর। এমনিতেও ঘরে খাট পাতার পর বিশেষ জায়গা নেই। তাই আমি বিছানাতেই বসলাম। আর নীপা কে বসালাম একটা বেতের আরাম চেয়ারে আমার দিকে পেছন করে আর ওর চুল নিলাম আমার কোলে কিন্তু প্রথম প্রথম ওর যেন অস্বস্তি হচ্ছিল, কিছুক্ষন পর দেখলাম শরীর টা এলিয়ে দিয়ে আয়েস করে ম্যাসাজ নিতে লাগল। অত ঘন আর অত লম্বা চুল যে এত ভারী হয় সেটা যারা চুল নাড়াচাড়া করে তারা জানে চুলের গোঁড়া তখনও ভিজে। আমি ওকে বললাম তোমার মাথায় যন্ত্রণা হওয়া স্বাভাবিক। তোমার চুলের গোঁড়া এখনও ভিজে। ও চোখ না খুলেই বলল হু, কি করি বল তুমি তো বারণ করেছ, নাহলে কবেই সব কেটে ফেলতাম। এদিকে আমার অবস্থাও বলে বোঝানোর নয়। চুল কেটে ফেলার কথায় বুক ধরাস করে উঠল, বুঝলাম ইয়ার্কি করছে। আমিও বললাম তাই বলে ভিজে চুল কেও জড়িয়ে রাখে? খুলে দিতে পারো। ও বলল তাতে নাকি কাজ করতে অসুবিধে হয়। আর কাজে লোকেরা তাকিয়ে থাকে। আমি হেস বললাম সে তো তাকাবেই। তোমায় দেখতে তো মন্দ নয়। তার ওপর তোমার চুল। তার চেয়ে এক কাজ করা যাক আমিই বরং তোমার চুল কেটে ফেলি। বল কতটা কাটব। কথাটা ইয়ার্কি করে বলেছিলাম। দেখলাম ও নির্বিকার ভাবেই উত্তর দিল যতটা কাটলে আর খোঁপা না করতে হয়। আমি ইয়ার্কি করে বলেছিলাম। কিন্তু এরকম উত্তর পেয়ে আর সামলানো যায় না। ঘর খুজে একটা চিরনি আর কাঁচি যোগাড় করতে লেগে গেলাম। আমার খোজা খুজি তে ও উঠে বসে দেখলাম জিগ্যেস করল কি খুঁজছি। বললাম কাঁচি। এবার দেখলাম ও ভয় পেয়েছে। বলল এমা আমি তো ইয়ার্কি করলাম। আমি এবার সুজোগ পেয়ে বললাম তাবোলে তো হয় না। দেখলাম ও সত্যি খুব ভয় পেয়েছে। বার বার বলতে লাগল, আজ না। অন্য একদিন। অনেক কাকুতি মিনতি তেও যখন কাজ হচ্ছে না তখন দেখলাম ও চুপ করেছে। ইতিমধ্যে আমি ঘর খুঁজে শুধু চিরুনি কাঁচি ই না একটা হেয়ার ড্রায়ার ও যোগাড় করে ফেলেছি। সেসব এনে ওর কাছে রেখে বললাম, বলো কাটবো কি কাটবো না। শেষবারের জন্যে জিগ্যেস করছি। ও এবার বুঝল আমি ইয়ার্কি করছিলাম। খুব লজ্জা পেয়ে বলল, আর একটু ম্যাসাজ দাও না। বিশেষ করে ঘাড়ের কাছটা। খুব আরাম হচ্ছিল। আমি চিরুনি কাঁচি সব সামনে রেখে আবার ওর পিছনে এসে বসে ওকে ম্যাসাজ দিতে দিতে বললাম আরাম হচ্ছে? ও খুব আয়েশ করে বলল হুউউ খুউউব। আরও খানিক্ষন ম্যাসাজ দেওয়ার পর বললাম তোমার চুল অনেক বেশী লম্বা। দাঁরাও দেখি। ও উঠে দাঁড়াল। দেখলাম প্রায় ওর পাছা পেরিয়ে থাই এর মাঝামাঝি। বললাম, দেখোঅত বড় কিন্তু না থাকলেও চলে। বলল তুমি তো দেখছি আমার চুল না কেটে আজ রেহাই দেবে না। আমি বললাম, তা নয় নীপা, তোমার চুলটার অবস্থা দেখেছ? অত সুন্দর চুল, এমনিতেই ডগাটা একটু কাটলে দেখতে ভালো লাগে, আর তোমার চুলের যা লেংথ কোমরের নিচে অব্দি কাটলেও লম্বাই থাকবেখোঁপা করতে কোন অসুবিধে হবে না। শুকোতেও অসুবিধে হবে না। দেখলাম ও একটু মেপে নিয়ে চোখ গোল গোল করে বলল অতটা? তারপর দুঃখী মুখ করে আবার চেয়ারে বসে পড়ল। আমি আরও বোঝানোর জন্যে কিছু বলতে যাচ্ছিলাম তার আগেই ও বলে উঠলো, দাও, কেটে দাও, থেকেই বা কি হবে। আমি এবার পেয়ে বসলাম। আমার বুক ধরাস ধরাস করছে। স্বপ্ন দেখছি না তো? ছোটবেলা থেকেই আমি চুল পাগল। ইন্টারনেটে চুল কাটার কত ভিডিও দেখেছি, ভাবছিলাম শুধু ডগা কেটে ছেড়ে দেবো? না আরও কিছু করবো? তারাতারি একটা প্ল্যান করে নিলাম। নীপা আবার জিগ্যেস করল, কি গো কি করতে হবে? আমি বললাম তোমায় কিছু করতে হবে না। বসো, আমি আনছি। নীপার চুল ততক্ষনে শুকিয়ে গেছিল। আমি আর ভেজালাম না ইচ্ছে করেই। শুকনো ই কাটতে বেশি মজা। শুধু এতক্ষন ওর চুল আমি যে পরিমান ঘেঁটেছি চুল ওলট পালট হয়ে আছে। ভালো করে আঁচড়াতে হবে। তার আগে আমার একটা আইডিয়া এসেছে। আমি ওর চুল ভালো করে আঁচড়ে তারাতারি মোবাইল ক্যামেরায় কটা ছবি তুলতে থাকলাম ওর আর ওর চুলের। ও তো হেসেই অস্থির। আমার ভিতরের উত্তেজনা টা ও বেশ বুঝতে পারছিল। এবার কাটার পালা। আমার কাঁচি তুলে নেওয়ার সময় দেখলাম ওর মুখ রীতিমত শুকিয়ে গেছে। এবার ওর উত্তেজনাটা আমি বুঝতে পারছিলাম। চুলটা ভালো করে আঁচড়ে কোমরের নিচে একটা রাবার ব্যান্ড দিয়ে একটা মাপ করলাম যাতে কাটার পর গোছাটা নষ্ট না হয়। প্রথম স্নিপ আওয়াজটায় দুজনেরই হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে এলো প্রায়। চোখের নিমেষে গোঁড়ায় রাবার ব্যান্ড আঁটা চুলের গোছাটা আলাদা হয়ে এলো। আর নীপার পাছা ঢাকা চুল পাছার ওপর অব্দি উঠে এলো। কাটা চুলের গোছাটা খাটে রাখলাম। পরে মেপে দেখেছিলাম সেটার লেংথ বাকি লেংথ এর প্রায় অর্ধেক। একটা জিনিস বলতেই হয়, যে অতটা চুল কেটে ফেলার পরেও নীপার চুল যথেষ্ট লম্বা। ও গোছাটা নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখেছিল, আমি ওকে সেটা নিতে দিই নি। ওটা আমার কাছেই আছে। এরপর ওকে জিগ্যেস করলাম, লেয়ার কাটবে? না ইউ শেপ? এমনিতেই ওর প্রায় কাঁদো কাঁদো অবস্থা। তার ওপর আরও কাটার কথা শুনে ও হাঁ হাঁ করে উঠল। আর কেটো না প্লিজ। আর ছোট কোরও না। আমি ঠিকাছে বলে ওর চুলের ডগাটা সমান করতে যাবো ও আরেকবার সিউরে উঠে বলল আবার কাটবে? ভাবটা যেন ও আমার বন্দী আমি যা বলব ওকে শুনতেই হবে। আমি এক ধমক দিয়ে বললাম চুপটি করে দাঁড়াও। তোমার চুল আর ছোট করিনি, শুধু ডগাটা সমান করে দিচ্ছি। বেশি ভয় পেলে সত্যি সত্যি কেটে দেবো একবারে ঘাড় অব্দি। ও ভয়ে কোনও কথা বলল না। আমি ওর চুলের ডগা নিখুঁত সমান করে দিলাম। তবে ওখানেই শেষ নয়। এতক্ষন ও দাঁড়িয়ে ছিল আর আমি ওর পিছনে বসে ওর চুল কাটছিলাম, এরপর ওকে চেয়ারে বসিয়ে একরকম জোর করেই ওর মাথার সামনের কপালের ওপরের মাথার তালু অব্দি চুল সামনের দিকে আঁচড়ে পার্ট করে ব্যাং কাট করে দিলাম চোখ অব্দি। ওর সামনের কপালের দুপাশের চুলের গোছা দু চোখের পাশে এসে পড়ে কপাল টাকে সুন্দর সেপ দেওয়াতে ওকে কি অদ্ভুত সুন্দরি (পরুন সেক্সি) দেখাচ্ছিল সেটা বলে বোঝানো যায় না। চুল কাটার পরের ওর ছবি তুলে রেখেছিলাম কটা মোবাইল ক্যামেরায়। সেগুলোর কথায় পরে আসছি। কিন্তু সব শেষ হওয়া অব্দি ও আর কোনও কথা বলেনি। সব হয়ে যাওয়ার পর ও অভিমানের সুরে বলল, শান্তি? ওর চুলের যা অবস্থা ছিল তাতে প্রায় অর্ধেকের বেশী চুল আমি কেটে ফেলেছিলাম। ফলে চুল শুকোনো কোনও অসুবিধে ছিল না। সেদিনই ওকে শ্যাম্পু করিয়ে ড্রায়ারে চুল শুকিয়ে যখন ঘর পরিস্কার করে সমস্ত শেষ হল ততক্ষনে বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেছে। নীপাকে একদম অচেনা দেখাচ্ছিল। পিছনে নিখুঁত করে কাটা পাছা অব্দি লম্বা চুল আর সামনের চুল ওর চোখ ঢেকে দিচ্ছিল, অই সামলাতে ও হিমশিম খাচ্ছিল। প্রথমে একটু বিরক্ত হয়ে বলল কি করলে বলতো, তোমার দাদাকে এবার কি বলব? আমি বললাম বলবে অসুবিধে হচ্ছিল তাই কেটে ফেলেছ। এরপর ওকে আয়নার সামনে দাঁড় করাতে দেখে শুনে বলল তুমি পার্লার খোলো না কেন? দারুন চলবে। আমি বললাম তাহলে এবার থেকে পার্লারে যেতে হলে আমায় বোলো। দুজনেই হাসলাম। ও তাড়াতাড়ি পিছনের চুল বেণি করতে করতে বলল, কতটা কেটে দিলে...। আমি বললাম এতো কিছু না, পরের বার পিঠ অব্দি কাটবো এখন থেকে বলে দিলাম। ওকে ওর বাড়িতে পৌঁছে দিতে গিয়ে আরেক কান্ড। ন্যাপলা দা তো অবাক। সেদিন ওদের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করে ফিরতে ফিরতে রাত হয়েছিল। এসে বিছানায় শুয়ে পরেছিলাম, পরের দিন আবিষ্কার করেছিলাম নীপার কাটা চুলের গোছাটা সারারাত আমার শরীরের সঙ্গে লেপ্টে ছিল।

3 comments:

  1. awesome story bro. shob guloi. keep it up. ar ekta maa ar seler story hoye jak?? :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. thanks bro...ma seleo hobe etar e aro interesting part asche trust me it'll be something unimaginable...tomra suggest koro kirokom story chai...

      Delete
  2. মায়ের চুল কাটা গল্প গুলো আমার খুব ভালো লাগে, আপনি আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেন। আমার ফেইজবুক আইডি হলো: https://www.facebook.com/profile.php?id=100011732220770

    ReplyDelete