New story coming
BENGALI LONG HAIRCUT
Monday, March 11, 2019
Wednesday, May 17, 2017
নীপা পতন-পরিবর্তন (শেষ অংশ)
সেদিন নীপা আর এল না।
পরের দিন ও এল না। তার পরের দিন সকালে যখন আমি ভাবছি নীপা বোধায় খুব রাগ করেছে
তখনই ঘরের দরজা খুলে নীপা ঢুকে এল। নীপার কাছে আমার ফ্ল্যাটের চাবি থাকে। দেখলাম
নীপার মুখ চোখ পালটে গেছে। মুখে কোনও কথা নেই। ঢুকে এসে দরজা টা বন্ধ করে আমার
কাছে এগিয়ে এসে আমার গালে একটা প্রচন্ড চড় মারল। তারপর আমার গেঞ্জিটা খামচে ধরে
বেডরুমে নিয়ে গিয়ে এক ধাক্কায় আমায় বিছানায় ফেলে দিয়ে আমার ওপর চড়ে বসল। তারপর
আমার দুহাত দুপাশে চেপে ধরে আমায় এলোপাথাড়ি চুমু খেতে লাগল। আজ আমার অবাক হওার
পালা। হোলটা কি নীপার। (পরে বুঝেছিলাম সব আমার দোষ। আমিই এতদিন ধরে ফুলতে থাকা
বেলুনটায় একটা আলপিনের খোঁচা মেরে ফেলেছি। নীপার সঙ্গে ন্যাপলা দার সম্পর্ক প্রায়
ভাই বোন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই সময়ে আমি আসি নীপার জীবনে। নীপা চড়টা আমার চুমু
খাওয়ার জন্যে মারেনি। চুমু খেতে এত দেরি করার জন্যে মেরেছিল) । সেদিন আমরা প্রথম বার শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ
হলাম। সেই ঘটনার বিস্তৃত বিবরণ এখানে আর দিলাম না, শুধু এটুকু বলতে পারি, আমি ওকে
ভোগ করেছিলাম না ও আমায় সেটা ঠিক বুঝতে পারিনি। কিন্তু সেদিনের পর থেকে আমার আর
নীপার মধ্যে কোনও আড়াল রইল না। এমনকি তারপর থেকে দুজন দুজনের সামনে উলঙ্গ হওয়া বা
শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়াটা যেন স্বামী স্ত্রীর থেকেও বেশি স্বচ্ছন্দ হয়ে গিয়েছিল।
এরপর সুযোগ বুঝে কথাটা পাড়লাম। “নীপা, আমি তোমার একটা ফটোশুট করতে চাই”। নীপা
আপত্তি করেনি। কিন্তু কিছু বলেও নি। বুঝলাম একটু বেশি গম্ভীর ভাবে বলে ফেলেছি
কথাটা। ওইভাবে না বলে একেবারে ক্যামেরায় ধরে ফেলতে হবে নীপা কে। (পাঠকের যদি মনে
হয় আমি নীপাকে নিয়ে খেলছিলাম তাহলে কিন্তু ভুল করবেন। আমার জীবনে নীপা ছাড়া কেও
ছিল না। মাথায় মনে শরীর জুড়ে শুধু নীপাই ছিল। যদিও পরিণতির কথা তখনও আমাদের দুজনের
কেওই ভাবছিলাম না। তবে আমি এবং নীপা দুজনেই খুব ভালো করে জানতাম আমাদের সব সমস্যার
সমাধান হল টাকা। আর নীপার শরীর টা যে টাকা ছাপার মেসিন সেটা নীপা না বুঝলেও আমি
বুঝছিলাম কারণ নীপার ফেসবুক প্রোফাইলে নীপার ফ্যান দের লিস্ট লম্বা হচ্ছিল। তাদের
মধ্যে দু একজন মডেলিং ও অভিনয় জগতে যথেষ্ট খ্যাতনামা)। প্রথম যে অফারটায় নীপা রাজী
হয়েছিল সেটার কথায় পরে আসছি তার আগে আরেকটি ঘটনার উল্লেখ করতে হয়। নীপার চুল আবার
ততোদিনে ওর পাছা ছাপিয়ে ওর ঊরু ঢেকে দিচ্ছে। মুখের সামনের চুল কাঁধ অব্দি নেমে
এসেছে। কিন্তু তখনও নীপাকে শাড়ী ছাড়া কিছু পরতে দেখিনি। চিন্তাটা আমার মাথায়
প্রথমদিন থেকেই ছিল। আমাদের প্রোডাক্সান হাউসে যে জামা কাপড় সাপ্লাই দিত সেই
সাপ্লায়ার কে ধরে নীপা কে না জানিয়েই কিছু খোলামেলা পোশাক জোগাড় করেছিলাম। এক
বৃষ্টি ঝরা জুনের সন্ধ্যায় বেশ রোম্যান্টিক কিছুক্ষন সময় কাটানোর পর নীপাকে জামা
কাপড় গুলো ধরিয়ে দিয়ে পরতে বলেছিলাম। পাঠক রা কল্পনা করতে পারবেন কিনা জানিনা,
নীপাকে এই রূপে প্রথম দেখলাম। দেখেই বুঝলাম ভুল হয়েছে। নীপার শরীর সুন্দর হলেও ওই
পোশাক পরার জন্যে আরেকটু ঘষা মাজার প্রয়োজন আছে। পেডিকিওর মানিকিওর ইত্যাদি ছাড়াও
নীপার নিজের কিছু সময় দরকার ওই পোষাকে স্বচ্ছন্দ হওয়ার জন্যে। বিশেষ করে ওই
পেন্সিল হিল পরতে হলে নীপার সময় চাই। এমনিতেই নীপার উচ্চতা ৫’৬” তার ওপরে ওই
পেন্সিল হিল আর অ্যাসিমেট্রিক মিডিয়াম স্কার্ট আর অর্ধেক বুক ও পুরো পিঠ খোলা টপ
আর ওই অসাধারন খোলা চুলে নীপাকে কিরকম লাগতে পারে, পাঠক কল্পনা করার চেষ্টাও করবেন
না, নয়ত আপনার অবস্থা আমার থেকেও ভয়ানক হওয়া স্বাভাবিক। আমার হাতের কাছে তাও নীপা
স্বয়ং ছিল তাতেই যদি আমার মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় হয় আপনারা তো তাকে দেখেন ও নি।
না জানি কি কল্পনা করবেন। দিন সাতেক সময় লেগেছিল। নীপাকে তৈরি হতে। তবে খুব
তারাতারি শিখে নিয়েছিল। এর মাঝে ওর চুল আমি আরেকবার ট্রিম করেছিলাম, যদিও আগেরবার
কাটার সময় বলেছিলাম পরের বার ছোট করব, আর এবার নীপার আপত্তি ছিল না, তবু বিশেষ ছোট
করলাম না। পিছন টা ভি সেপ করলাম জার ডগাটা ঠিক দুই পাছার মাঝের খাঁজে গিয়ে শেষ হয়। আর সামনের চুল আবার চোখ অব্দি কেটেছিলাম।
আরেকটা কাজ করেছিলাম, চুলটা স্ট্রেট করে দিয়েছিলাম, আর ডার্ক চকলেট কালার করে
দিয়েছিলাম। এরপর নীপার সঙ্গে বাইরে বেরোলে ন্যাপলা দা কেন নীপা নিজেকেও চিনতে পারত
না আয়নায় দেখলে। হাল্কা মেকআপ যথেষ্ট ছিল নীপাকে অসাধারণ দেখানর জন্যে। কিছু ফটো
তুলেছিলাম নীপার ক্যাজুয়াল পোজে তাতেই ফেসবুক তোলপাড় পরে গেল। ঠিক সেই সময়ে এলো
অফারটা যেটা আমার আর নীপার দুজনেরই জীবন বদলে দিল। আমাদের পতন সম্পূর্ণ হয়েছিল।
দুজনেই বুঝলাম এবার উত্থানের সময়। এতদিন আমি নীপাকে পথ দেখাচ্ছিলাম এবার নীপার
ওড়ার সময়, আমি শুধু সঙ্গে থাকবো।
Friday, May 5, 2017
নীপা পতন-পরিবর্তন
8
আমার মোবাইলে তোলা নীপার ছবি গুলো ফেসবুকে নীপার একটা প্রোফাইল বানিয়ে তাতে
দিয়েছিলাম। কয়েক দিনের মধ্যেই দেখলাম দেখতে দেখতে নীপার প্রোফাইল ফ্যানে ভরে গেল।
যদিও নীপা কিছুই জানত না। আমিই ওর প্রোফাইল মেন্টেন করতাম। আরেকটা জিনিস লক্ষ্য
করছিলাম নীপা আমার ফ্লাটে আরও বেশি বেশি সময় কাটাতে লাগল। যদিও কখনও রাতে থাকতো
না। কিন্তু আমার ধারণা ন্যাপলা দা নীপাকে বেশি কৈফিয়ত চাইতো না। কয়েক মাসের মধ্যেই
নীপা ছেলেকে বোর্ডিং এ পাঠিয়ে দিল। নীপার মধ্যে একটা পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছিলাম।
পরিবর্তন শুধু ওর চুলে হয়নি। চুলের সঙ্গে সঙ্গে যেন ও আগের আড়ষ্টতা ও কেটে
ফেলেছিল। আমার সঙ্গে ওর ঘনিষ্ঠতা বাড়ছিল। যদিও সেটা আমিই হয়ত শারীরিক হতে দিইনি। ওর
দিক থেকে কোনও আপত্তি ছিল বলে মনে হচ্ছিল না। আমি একদিন খোলাখুলি জিগ্যেস ই করে
ফেললাম, ব্যাপারটা কি। জানলাম ন্যাপলা দার সঙ্গে নীপার দূরত্ব এতটাই বেড়েছে যে
ন্যাপলা দা ওকে সন্দেহ করতে করতে কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছে। ভগবান সাক্ষী সেদিন
আমার ন্যাপলা দার থেকে নিজের ওপর রাগ বেশি হয়েছিল। তার আগে অব্দি আমি নীপার শরীরের
দিকে নজর দিই নি। সেইদিন আমি নীপাকে বাড়ি যেতে দিলাম না। বললাম তুমি আজ আমার সঙ্গে
রাত কাটাবে। ন্যাপলা দা যদি এমনি এমনি ই তোমায় সন্দেহ করে তবে তাকে তার মত থাকতে
দাও। নীপা খুব আপত্তি করেছিল কিন্তু শেষ অব্দি কান্না আটকাতে পারেনি। খুব কেঁদেছিল
সেদিন। রাতে আমরা এক বিছানায় জেগে রাত কাটালাম। নীপার মাথা আমার বুকে চেপে ধরে।
সেই আমাদের পাপের শুরু। এরপর থেকে আস্তে আস্তে নীপা আর আমার বন্ধুত্ব আসতে আসতে
লিভ টুগেদার হয়ে দাঁড়াল। যদিও তখনও আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়নি।
অফারটা এল এক প্রোডিউসারের কাছ
থেকে। একটা অ্যাড ফিল্ম। শ্যাম্পুর অ্যাড। নীপাকে বলতেই না করে দিল। ও ওসব অ্যাড
করবে না। তখনও নীপা ওর ফেসবুক প্রোফাইলের কথা যদিও জানত না। সেদিন ওকে বলতে প্রথমে
খুব রেগে গেল। তাতে আমারও রাগ হল। নীপা কম সুন্দরী নয়। সাজলে ওকে যেকোনো সুপার
মডেলের থেকে কম কিছু লাগে না। তাহলে দেখাতে আপত্তি কোথায়? নীপাকে বলতে ও ছেলের কথা
তুলল। “ছেলে বড় হচ্ছে। লোকে কি বলবে। ছেলে কি ভাববে। তোমার দাদার কথা না হয় ছেড়েও
দিলাম, পাড়ায় মুখ দেখাবো কি করে”। আমিও ছেলের কথাই বললাম। “তুমি কত মাইনে পাও? দু
পয়সা বেশি রোজগার করলে প্রবলেম টা কোথায়? তুমি তো অন্যায় কিছু কোরছ না”। তাও নীপা
চুপ করেই রইল। আমিও ছাড়বার পাত্র নই। দুদিন ঘ্যানঘ্যান করার পর তিন দিনের দিন
নীপাকে মানানো গেল। কিন্তু ওর শর্ত, ও খোলামেলা পোশাক পরবে না। ওর এই একটি কথা
আমার মাথায় সব ওলট পালট করে দিল। সেই রাতে অনেক ভাবলাম, নীপা শরীর দেখাতে চায় না।
কাউকেই না? নাকি আমায় দেখাবে। যদি আমি ওর ফটো তুলি? বহুদিন ধরে আমার ক্যামেরায় হাত
পাকানোর ইচ্ছে। সামনে এত সুন্দর মডেল থাকতে আমি কিনা সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট
ম্যানেজার? না। আর করব না। মাথায় বুদ্ধি এল। নীপা ভালো মডেল। ফেসবুকে ওর ফ্যান সংখ্যা এতদিনে বেস ফুলে উঠেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই আছে
যারা প্রয়োজন হলে নীপার ছবি পয়সা দিয়ে কিনতেও ইচ্ছুক। কেমন হবে যদি আমি নীপার ছবি
বিক্রি করি? সেই শুরু নীপার প্রতি আমার শরীরের টান। তারপর মাথায় ভাবনা এল। আচ্ছা,
নীপা যদি রাজি না হয়? রাজি হবে না মানে? চুলের মুঠি ধরে রাজি করাবো।
পরের দিন নীপা কে দেখেই মনে হল এ নীপা সেই
নীপা নয়। নীপা আমার ঘরে এসেছিল সকাল সকাল। কি যেন ফেলে গিয়েছিল। নিয়েই কাজে
বেরোবে। আমি সদ্য বিছানা ছেড়ে উঠেছি। ঘুম চোখে ড্রয়িং রুমে বেরিয়েই নীপা কে দেখে
মাথাটা ঘুরে গেল। নীপা মন দিয়ে ড্রয়ারে কি খুঁজছিল। পড়নে নীল তাঁতের শাড়ী। সবুজ
ব্লাউজ। চুল শুকয়নি ঠিক করে তাই তুলে খোঁপা করা। ভিজে চুলের খোঁপা সাধারণত শুকনো
চুলের থেকে ছোট হয়। কিন্তু নীপার চুল এতটাই ঘন যে তাতেই খোপাটার সাইজ খুব ছোট নয়।
যদিও আমি ওর চুল অনেকটা কেটে দিয়েছিলাম তবু সে ও প্রায় মাস খানেক হয়েছে। একমাসে
চুল বেশী বারার কথা নয়। কিন্তু ওর কপালের চোখ ঢাকা চুল বড় হয়ে প্রায় চিবুক অব্দি
নেমে এসেছে এর মধ্যেই। ব্লাউজটার পিঠ অনেকটা খোলা। আমি ভাবছিলাম এই দৃশ্য পয়সা
দিয়ে দেখতেও লোকেরা রাজি। কি লাগছে নীপা কে। জিগ্যেস করলাম “খুব ব্যাস্ত?” বলল দেখ
না কাল চুলের ক্লিপ টা কোথায় রেখেছি খুজে পাচ্ছি না। অফিসে দেরি হচ্ছে।এবার আর
পারলাম না। ওর কাছে এগিয়ে গিয়ে ওর খোঁপা টা খামচে ধরে আমার দিকে ঘুরিয়ে ওর ঠোঁটে
আমার ঠোঁট চেপে ধরলাম। ও কিছু বোঝার আগেই বুঝলাম ওর চোখ বন্ধ হয়ে এসেছে, নিশ্বাস পরছে
জোরে জোরে। পেট কাঁপছে। ওর হাঁটু ও কাঁপছে। আমি ছারলাম না। আমারও হার্টবিট বেড়ে
গেছে। ওর খোঁপা টা খুলে পড়েছিল ওর গোটা শরীরে। ওকে ছেড়ে দিতে দেখলাম ওর সামলাতে
সময় লাগলো। তারপর কিছু না বলে ওর হাতব্যাগ টা তুলে নিয়ে ঠোঁট টা মুছে নিয়ে ঘর থেকে
বেরিয়ে গেল। কোনও কথা বলল না। আমার দিকে তাকাল ও না।
Wednesday, December 7, 2016
মায়ের মেকওভার (২) (১৮+)
সেদিন দীপে আর দোলার কি হয়েছিল বলা শক্ত। দোলা
যখন বাথরুম থেকে বেরল তখনও দীপ সেই ভাবেই আধ ল্যাঙট হয়ে সোফায় বসে হাঁপাচ্ছে।
দোলাকে আরেকবার গা ধুতে হয়েছে সাবান দিয়ে। গায়ে তোয়ালে জড়ানো আর চুল কোনওরকমে উঁচু
করে এলো খোঁপা করা। দীপের দিকে চোখ পড়তেই চোখ নামিয়ে ভেতরের ঘরে ঢুকে গেলেন। পেছন
পেছন দীপও গেল। দোলা শাড়ি পরতে যাচ্ছিল। দীপ বাধা দিল। আজ সে কিছুতেই মা কে শাড়ি
পরতে দেবে না। আজ দোলাকে সে জিন্স পরিয়েই ছাড়বে। অগত্যা দোলা কে পরতে হল। একটা
জিন্স আর টাইট টপ। উফ কি দেখাচ্ছে মা কে। শ্যাম্পু করা খোলা চুল হাঁটু অব্দি নেমে
এসেছে প্রায়। আর লজ্জায় দোলা প্রায় মিশে যাচ্ছে মাটিতে। দীপ আর সাম্লাতে পারল না।
দোলার চুলের মুঠি খামচে ধরে টেনে এনে বিছানায় ফেলে এলোপাথাড়ি চুমু খেতে লাগল।
প্রথমে চুমু খেয়ে শেষে আবার সেক্স করতে উদ্যত হতেই এবার দোলা বাধা দিল। অনেক তো হল
আবার পরে। না এখুনি চাই। দোলা কিছুতেই করবে না। কিন্তু দীপ এমন জোরে তাকে বিছানায়
চেপে ধরেছে যে তার নরাচরা করার উপায় নেই। কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পর হাঁপিয়ে তার
শরীর শান্ত হয়ে গেল। দীপ আবার দোলাকে উলঙ্গ করে তার গুদে আঙ্গুল চালাতে চালাতে
চুমু খেতে লাগল। দোলা মুখ সরিয়ে নিচ্ছিল যতটা সম্ভব বাধা দেওয়ার চেস্টা করছিল।
তাতে দীপ আরও উন্মাদ হয়ে উঠল। দোলার শাড়ি ছিঁড়ে সেই দিয়ে দোলার হাত পা মুখ বেঁধে বিছানায়
ফেলল। তারপর আবার শুরু করে দিল। আজ দোলার রক্ষা নেই। কিন্তু তার কিছু করার ও নেই।
প্রায় ঘন্টা খানেক উলটে পালটে করার পর দীপ আবার একগাদা মাল ফেলল। আর এই প্রথমবার
দোলার জল খসল। বিছানা দীপের মাল আর দোলার জলে ভিজে গেল। এতক্ষনে দীপের কাম কমেছে।
আর দোলার শরীরও অবশ। তার চুল বিছানায় ছড়িয়ে পরেছে। দীপ উঠে দাঁড়াল। দোলার চুলের
মুঠি ধরে তাকেও মেঝেতে দাঁড় করিয়ে আগে তার চুলের গোছাটা কে যতো টা সম্ভব টাইট করে
একটা খোঁপা করে দিল। তারপর তার হাত পা খুলে দিয়ে বলল তারাতারি রেডি হয়ে নিতে। সে
তাকে পার্লারে নিয়ে যাবে। দোলার শরীর আর চলছিল না। তাও কোনরকমে একটা শাড়ি জরিয়ে আর
খোঁপাটা খুলে একটা বেনী করে বেরল দীপের সঙ্গে। সে কিছু বুঝতেও পারছিল না। বুঝতে
চাইছিলও না। ঘন্টা চারেক পর দোলা আর দোলার বেনী বাড়ি ফিরল বটে। কিন্তু দোলার তখন
কাঁধ অব্দি স্ট্রেট ইনভার্টেড বব, ঘাড়ের কাছে একদম মিহি করে ছাঁটা, আর মুখের শেপের
সঙ্গে মানানসই তামাটে রঙের ব্যাং কাটে দোলা কে যা লাগছিল সেটা নিচের তলার দীপের
বন্ধুদের উঁকি ঝুঁকি তেই বোঝা যায়। আর দোলার পোঁদ পেরোনো মোটা বেনী দীপের হাতের
পলিথিনের প্যাকেটে। দোলা ভিতরের ঘরের বিছানায় গিয়ে পড়েই ঘুমিয়ে গেল।
তার ঘুম ভাঙল তখন রাত হয়ে গেছে। কিন্তু বাইরের
ঘরে বেশ কিছু ছেলের গলার আওয়াজ আসছে। কড়া মদের গন্ধ চারদিকে। দীপ এসে অপ্রকৃতিস্থ হেসে
দাঁড়াল। বলল, মা আমার বন্ধুরা এসেছে তোমার নতুন হেয়ার স্টাইল দেখতে। রেডি হয়ে
বাইরে এসো। দেরি হলে ওরা এখানে এসে যাবে। আর আমার আনা সেই ড্রেস গুলোর মধ্যে একটা
পর। একটা জিন্সের হট প্যান্ট আর একটা শর্ট টপ পরে দোলা বাইরে এসে দেখেন পাঁচটা
দীপের বয়েসি ছেলে মদের আসর বসিয়েছে বাইরের ঘরে, তাদের মধ্যে একজনের হাতে দোলার
কাটা বেনীটা। সে সেটা দিয়ে নিজের ধনে বোলাচ্ছে। দোলার মুখ শুকিয়ে গেল। কি যেন বলতে
যাচ্ছিল। তার আগেই দীপ তার চুলের মুঠি খামচে ধরে টেনে এনে ছেলে গুলোর মাঝে সোফায়
বসিয়ে দিল।
Wednesday, November 30, 2016
মায়ের মেকওভার (১৮+)
দীপের গার্লফ্রেন্ড আবদার করেছে দীপের
মায়ের মেক ওভার করাতে হবে নয়তো কিছুতেই দেখা করবে না। এমনিতেই বহু কষ্ট করে বহু
খরচা করে দীপ অমন একটা ঝিংকু গার্লফ্রেন্ডকে ফেসবুকে পটিয়ে ছিল। এখন পরেছে মহা
ঝামেলায়। মায়ের মেকওভার? মানে? একদম ওয়েস্টার্ন মেকওভার চাই মায়ের। সেক্সি
দেখতে হওয়া চাই নয়তো মেয়ে কিছুতেই দীপের সঙ্গে দেখা করবে না। এমনিতে দীপ একটা ভালো
কম্পানিতে কাজ করে। মাইনে ভালো। কিন্তু দেখতে তেমন ভালো না হওয়াতে এতদিন হাত দিয়েই
কাজ সেরেছে। কোনও মেয়েই পাত্তা দেয়নি। আজ যদিও বা এমন একটা মেয়ে জুটল সেও বোধায়
পালায়। এ কেমন আবদার। দীপের মায়ের বয়েস কম করেও পঞ্চাশ। যদিও চেহারা আঁটসাঁট দেখে
বোঝা যায় না তবু তিনি নিতান্ত গৃহবধূ। শেষ কবে চুলের ডগা ছেঁটেছেন বলা মুশকিল।
পোঁদ পেরোনো ঘন অল্প কোঁকড়ান ঘন কালো চুল, কপালের কাছে সবে পাতলা হতে শুরু করেছে, অল্প
পাক ও ধরেছে। তবু এই বয়েসে সেক্সি মেক ওভার? লোকে কি বলবে? তবু খুব
সাহস করে মাকে গিয়ে বলতে কোনও পাত্তাই পেল না। দীপ যদিও খুলে বলেনি। বলেছিল মা
তোমার একটু সাজগোজ করা উচিত। দীপের মা দোলা দেবী কিছুই উত্তর দেননি। যেন শুনতেই
পাননি। দীপ কিছুক্ষন বসে থাকল। তারপর সটান বাবা কে গিয়ে বলল বাবা সামনে তো তোমাদের
বিবাহবার্ষিকী তো আমি নিজের টাকা দিয়ে একটু ভালো করে উদযাপন করতে চাই। বাবা বলল
অকারণে পয়সা নষ্ট করোনা। তবু দীপ এটাই প্ল্যান বানাল। মাকে মেক ওভার করাতেই হবে।
দরকার পড়লে জোর করে। করাবেই। পরের বিপদ টা এলো গার্লফ্রেন্ডের পরের আবদারে। তিনি
সময় বেঁধে দিলেন এবং কেমন মেক ওভার চাই তার কিছু ছবিও পাঠালেন। ছবি দেখে দীপের
কান্না পেল। সামান্য সাজগোজ হলেও হয়। কিন্তু তাই বলে ওরকম সাজ? হট
প্যান্ট? শর্ট টপ? আর চুল? ওইরকম চুল মা মরে গেলেও কাটবে না। উপায়
একটাই। সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হলে প্রথমেই মা কে বাড়ি থেকে সরিয়ে নিজের কাছে
নিয়ে যেতে হবে। তাহলে ব্যাপারটা অনেক সোজা হবে। সেই সপ্তাহেই দীপ মাকে নিয়ে নিজের
কলকাতার মেসে নিয়ে গিয়ে উঠল। মেসে দীপ ছাড়াও আরও তিনজন ব্যাচেলর থাকে সুতরাং সেই
সপ্তাহেই দীপ কে মেস ছেড়ে সেই বাড়িরই উপরের তলার একটা ফাঁকা ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে হল।
বাড়িওলা আপত্তি করেনি, কারণ ছেলে মায়ের সঙ্গে থাকতে চায় তাতে
আর অন্যায় কি। আসল খেলা শুরু হল তিন চার দিন পর। দোলা দেবী বুঝলেন না ছেলের কি
হয়েছে। হটাত দীপ এমন কিছু জামা কাপড় কিনে এনে তাঁকে পড়তে জোর করতে লাগল যেগুলো
তিনি পড়া তো দুরের কথা টিভিতে দেখলেও চ্যানেল বদলে ফেলেন। তিনি কিছুতেই পড়লেন না।
ফলে দীপের আর কিছু করার থাকল না। দীপের মাথায় তখন রোখ চেপে গেছে। প্রথমে কাকুতি
মিনতি করল। তারপর আবদার করল। শেষে রাগ দেখিয়ে খেল না ও পরের দিন অফিস ও গেল না।
দোলা দেবীও অটল। তাঁর কিছু করার ও নেই। ওই পোষাকে লজ্জা ঢাকে না। বরং শরীর দেখানোই
যেন ওই পোশাকের উদ্দেশ্য। আর যদিও বা পরেন ও ওই পোশাক একবার ছেলের আবদারে তো সেই
পোশাক পড়া অবস্থায় ছেলের সামনে দাঁড়াবেন কিকরে। তিনি ছেলেকে জিগ্যেস করলেন
ব্যাপারটা কি? দীপ সত্যিটা বেমালুম চেপে গেল। বলল সামনে তোমাদের বিবাহবার্ষিকী তাই
বাবাকে সারপ্রাইস দিতে চাই। শুনে দোলা দেবী তো হেসেই খুন। তবু ওই পোশাক পড়া যায়না।
মায়ের হাসিটায় দীপের খুব রাগ হল। এবার দীপের আবদার আদেশ হয়ে দাঁড়াল। সে খোলা খুলি
বলেই দিল “দেখ মা আমি তোমায় এখানে এনেছি তোমায় পাল্টানোর জন্যে, হয় আমার সঙ্গে
সহযোগিতা কর নয়তো আমি কিন্তু অন্য উপায় নেব” কথাটা দোলা দেবীর খারাপ লাগল। দীপ
বলেই চলল, “তোমায় বিয়ে করার পর ও বাবা লুকিয়ে লুকিয়ে কি করে সেটা বোঝার মত বয়েস
আমার হয়েছে, আমি চাই একবার বাবাকে দেখাতে যে তুমিও কম সুন্দরি নও” দোলা দেবীর হাসি
মুহূর্তে মিলিয়ে গেল। চুপচাপ উঠে গিয়ে শাড়ি সায়া ব্লাউজ খুলে ফেললেন তারপর ল্যাংটো
অবস্থায় দীপের সামনে এসে দাঁড়ালেন। দুচোখে জল। দীপ এই প্রথম কোনও ল্যাংটো মেয়ে
শরীর দেখল সামনাসামনি। ঘন লোমশ শরীর কিন্তু রঙ টকটকে গোলাপি। মাইয়ের বোঁটা বড় বড়
বাদামী কিন্তু মাই দুখানা এই বয়েসেও টাইট। পোঁদে চর্বি আছে কিন্ত গুদ বালে ঢাকা।
সাইজ ৩৮-৩২-৪২ আর উচ্চতা ৫’৩”। এই তার মা? এত ডাঁশা মাগী। কোথায় লাগে তার সেই
গার্লফ্রেন্ড? মায়ের লম্বা চুল বেণি করে সেই বেণির খোঁপা করা ছিল। দীপ অর্ডার দিল
চুল খুলে ফেল। আর সব গয়নাও। দোলা দেবী একে একে গলার হার, কানের দুল, নাকের
নাকছাবি, ও সবশেষে চুল খুলতে লাগলেন। দীপ বসে বসে দেখছিল। শেষে সব খোলা হলে বলল
বারথ্রুমে গিয়ে স্নান করে এসো। আর পা হাতের লোম আর গুদ কামিয়ে বেরোবে। শরীরে যেন
লোম না থাকে। আর অবশ্যই শ্যাম্পু করে বেরোবে। দীপা দেবী সময় নিলেন বেশ কিছুক্ষন।
দীপের হার্টফেল করার জোগাড়। ঘরে এরকম মাল থাকতে বাইরে খুজে বেরাচ্ছিল এতদিন? মায়ের টকটকে গলাপি মাখনের মত শরীর দিয়ে জল পিছলে
পড়ছে। মাথার চুল চুড়ো করে গামছা জড়ানো। সদ্য চাঁছা গুদ যেন আদর করে ডাকছে। আর পারা
যায়? দীপ ও পারল না। এক টানে মায়ের মাথা থেকে গামছা টা খুলে নিয়ে ছুরে ফেলল। এক
ঢাল ভিজে চুল ছিটকে পড়ল দুজনের গায়ে। সেইখানেই মেঝেতে মাকে চিত করে ফেলে দীপ
লাগিয়ে দিল। একনাগাড়ে আধঘন্টা ধরে দু বার চুদে মাল ফেলার পর দীপের মনে হল এবার
পজিশন বদলানো উচিৎ। সুতরাং সেই অবস্থাতেই শুধু ডাঁশা ঠ্যাং দুটো দু কাঁধে তুলে
নিয়ে আরও একবার চোদার পর উপুড় করতে যেতে দোলা কেঁদে উঠল ওরে এবার ছার আমি তো
পালাচ্ছি না। ভিতরের ঘরে নিয়ে গিয়ে বিছানায় যত পারিস চুদিস। মেঝেতে কতক্ষন করবি?
আরও মিনিট কুড়ি পোঁদ মারার পর বুঝল লম্বা চুল খুব বিরক্ত করছে। এমনিতেই দোলার চুল
পোঁদ ঢাকা, তার ওপর সদ্য শ্যাম্পু করা আধভিজে, সামলানো মুশকিল। দীপ একবার রাগের
মাথায় ভাবল কেটেই ফেলে, তারপর নিজেকে সামলাল। কি দারুন নরম চুল যেন রেশমের বিছানা,
তার ওপর নতুন হারবাল শ্যাম্পুর গন্ধ। যেন নেশা হয়ে যায়। দীপের ধন আবার শক্ত হয়ে
উঠল। মা কে টেনে আনল শোফার কাছে তারপর দু পায়ের ফাঁকে মা কে মেঝেতে বসিয়ে আখাম্বা
বাঁড়া টা চোষাতে চোষাতে মায়ের চুল ঘাঁটতে লাগল। একবার গোছা করে ধরে গন্ধ শুঁকল
একবার চুড়ো করে খোঁপা করে গন্ধ শুঁকল। একবার গোটা মুখে বোলাল। তার সঙ্গে ধনে নরম
জিভের অনুভূতি উফ কি দারুণ। শেষে হরহর করে মায়ের মুখে গায়ে মাইয়ে একগাদা মাল ফেলার
পর তার আফসোস হল ইসস যদি চুলের গোছাটাতে ধন ভরে মাল ফেলা যেত, থাক পরের বার হবে।
দীপ হাঁপাতে লাগল সোফায় শুয়ে, দোলা দেবী উঠে আবার বাথরুমে ঢুকলেন। দীপ লক্ষ্য করল
দোলার চুল খোলা থাকলে ওতেই ওর গোটা শরীর ঢেকে থাকে, পোশাকের প্রয়োজন পরে না।
Friday, September 23, 2016
নীপা (পরিচয় ও প্রথম অভিযান)
১
প্রথম যখন ন্যাপলা দার বৌ নীরা বৌদিকে দেখি খুব একটা কিছু মনে হয় নি। সাধারণ ঘরের মেয়ে বিয়ের পর আরেক সাধারণ ঘরে গেলে যেমন দেখানো উচিত তেমনি। অল্প ঘোমটা দিয়েছিল যেদিন প্রথম ন্যাপলা দার বৌ দেখতে যাই। ন্যাপলা দার বৌ নয় তবে নীরা বৌদিকে দেখতে যাওয়ার কথা এখনও মনে আছে তার একটা কারণ আছে।
ন্যাপলা দার বাড়ির অবস্থা ভালো নয়। তাই বিয়ে হয়েছিল গ্রামে, নিমন্ত্রিত দের লিস্ট এতটাও লম্বা ছিল না যে আমাদের ডাক পরতে পারে। অতএব ন্যাপলা দা বিয়ে করে বৌ নিয়ে যখন কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের ঘোষ পাড়ার ভাড়া বাড়িটায় বৌকে নিয়ে এসে উঠল তখন এই আমরা কয়জন বন্ধুস্থানীয়রা ভাবলাম ন্যাপলা দার নাহয় অবস্থা খারাপ নেমন্তন্ন করতে পারেনি কিন্তু তাই বলে বৌ দেখতে খালি হাতে যাওয়াটা ভালো দেখায় না। কিন্তু কি গিফট দেওয়া যায় ঠিক করা গেল না। আবার ন্যাপলা দা স্বভাব সিদ্ধ লাজুক হেসে যখন বৌ দেখতে যেতে নেমন্তন্ন করল তখন না গেলে সত্যি খারাপ দেখায়। জনা সাতেক কুড়িয়ে বাড়িয়ে চাঁদা উঠল স’পাঁচেক। অবশেষে পাড়ার আরেক বৌদি কে ধরা হল কি দেওয়া যায় সেই বুদ্ধি ধার চাওয়ার জন্যে। তিনিও তেমন কিছু উপদেশ দিতে পারলেন না। আজকের বাজারে অত কম পয়সায় কি হয়। শেষে দেওয়া হয়েছিল একটা হটপট।
অল্প ঘোমটা দিয়ে অল্প হেঁসে সবাইকে মিষ্টি খাইয়েছিল নীরা বৌদি। তবে আজ মনে হচ্ছে সেদিন কিছুই দেখিনি। সেদিন বলছি বটে তবে সেও বছর ছয়েক হতে চলল। ইতিমধ্যে আমার অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আমি আর বেকার নই। এক নামী ফিল্ম কোম্পানির প্রোডাকশন মানেজারের অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ জুটে যায়। তারপর মাসে মোটামুটি ভালোই উপার্জন হচ্ছিল। ঘোষ পাড়া ছেড়েছি বছর
চারেক। এখনও বিয়ে হয়নি। তবে সেটা আমিই হতে দিইনি। ন্যাপলা দার নীরা বউদিদের সঙ্গে
দেখা নেই আজ বছর চারেক। ন্যাপলা দা এম জি রোডে একটা ওষুধের দোকানে কাজ করতো।
রাস্তার ওপরেই দোকান ছিল। ও রাস্তা দিয়ে গেলেই একবার চোখ চলে যাবেই দোকানটার দিকে।
প্রায়ই ন্যাপলা দাকে দেখতে পেতাম না দোকানে। হয় কোথাও মাল আনতে পাঠানো হতো কিম্বা
কোনও কাজে। মোদ্দা কথা সারাদিন দৌড়ঝাঁপের কাজ করতো ন্যাপলা দা। গতসপ্তাহে ওই
রাস্তা দিয়ে বাসে চড়ে যেতে যেতে চোখ পড়তে দেখলাম দোকান বন্ধ, কি কাজ হছে। বোধায়
সারাই হচ্ছে আজকাল তো সব দোকানই ঝাঁ চকচকে করে রিমডেলিং হচ্ছে। তেমনি কিছু হবে।
ভেবে ভালো লাগলো ন্যাপলা দার এবার মাইনে বাড়বে। অবস্থা টা একটু শুধরবে। ভেবেই মনে
হল আজ তো তেমন কাজ নেই। রাত্রের মধ্যে লোকেসানে পৌঁছালেই চলবে। হাতে বেশ কয়েক
ঘণ্টা সময় আছে। একবার দেখা করে গেলে কেমন হয় ন্যাপলা দার সঙ্গে। যেমন ভাবা অমনি
কাজ। নেমে পরলাম বাস থেকে। হাঁটা পথে মিনিট পনেরো। গিয়ে হাজির হলাম ঘোষ পাড়ায়।
পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানটায় উঁকি মেরে চেনা মুখ কাউকে খুঁজে পেলাম না। একজন অতি
উৎসাহী আমারই বয়েসি ছেলে জিগ্যেস করল কাউকে খুঁজছেন? বললাম, না আসলে আমি আগে এই
পাড়ায় ভাড়া থাকতাম তাই এইদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম ভাবলাম একবার দেখে যাই। বসে একথা
সেকথা হতে হতে ন্যাপলা দার কথা উঠতে দেখলাম তিনিও চেনেন ন্যাপলা দাকে। ছেলে হয়েছে
নাকি বছর তিনেক হল। শুনে বেশ লাগলো। দেখা করার ইচ্ছেটা আরেকটু বেড়ে গেল। উঠে পরলাম
চায়ের দোকান থেকে এক প্যাকেট মিষ্টি কিনে ন্যাপলা দার দরজায় কড়া নাড়তে বৌদি দরজা
খুলল। সন্ধ্যে হয়ে গেছে। বৌদি বোধায় সন্ধ্যে দিচ্ছিল। আমায় দেখে চিনতে পারল না।
বলল কাকে চাই? বললাম ন্যাপলা দা নেই? আমায় আপনার বোধায় মনে নেই। নিজের পরিচয় দিতে
আর সেই দেখতে আসার গল্প বলতে নীপা বৌদি এক মুখ হেসে ভেতরে ডাকল। ভেতরে ঢুকে আমার
মন টা খারাপ হয়ে গেল। ন্যাপলা দা বিছানায় শুয়ে। দেখলে বলে দিতে হয় না রীতিমত
অসুস্থ। কি হয়েছে জিগ্যেস করতে হল না। বৌদি নিজেই বলল আজ দশদিন হল জ্বর কমছে না। হমিওপ্যাথি
ডাক্তার দেখানো হয়েছে। ভালো ডাক্তার দেখানোর পয়সা নেই। ন্যাপলা দার চাকরি নেই আজ
মাস দসেক। ছেলেটি কে দেখলাম বেশ ফুটফুটে। ওদের দেখে মায়া হল। সঙ্গে সঙ্গে বাক্য
ব্যয় না করে একটা রিক্সা ডেকে ন্যাপলা দাকে নিয়ে ডাক্তার হরিপদ খাসনবিশের কাছে
দেখিয়ে ওষুধ কিনে বাড়িতে পৌঁছে দিতে দিতে রাত আটটা। তার পর স্বাভাবতই আর বসার সময়
হয়নি। বৌদি কোনও কথা বলেনি। তবে ওর চাহনিতেই ওর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পাচ্ছিল।
তারপর রেগুলার খোঁজ নিতাম, ন্যাপলা দার চিকিৎসার জন্যে কিছু টাকা দিয়ে
এসেছিলাম। আর বলে এসেছিলাম লাগলে যেন বৌদি অবশ্যই জানায়। আর লাগেনি ওষুধ পরতেই
ন্যাপলা দা আবার সুস্থ হয়ে উঠতে লাগল। কাল আবার গিয়েছিলাম ন্যাপলা দাকে দেখতে। আর
কাল দেখে এসেই আমার আজ মনে হল এই এতদিন আমি নীপা বৌদিকে ঠিক করে দেখিনি আজ অব্দি
নাহলে এ জিনিস আমার চোখ এরিয়ে যেতেই পারেনা।
২
গতকাল ছিল রবিবার। সকাল সকাল গিয়েছিলাম ন্যাপলা দার বাড়িতে, ইচ্ছে ছিল
সারাদিন থেকে বিকালে ফিরবো। গিয়ে দেখি ন্যাপলা দা চায়ের দোকানে বসে। বললাম করছ কি
তোমার না শরীর খারাপ। ধরে নিয়ে চললাম বাড়ি। বাড়িতে ঢুকতেই কথার খেই হারিয়ে ফেললাম
নীপা বৌদি কে দেখে। সেই সাধারণ মুখ সেই লম্বা রোগাটে গড়ন পার্থক্য করে দিয়েছে একটা
জিনিস। নীপা বৌদির চুল। বোধায় স্নান করে বেরিয়েছেন সদ্য চুল ভিজে আর বাঁ দিক দিয়ে
সামনে নেওয়া চুলের গোছাটা প্রায় সমস্ত শরীরই ঢেকে দিয়েছে। কি দারুন চুলের গোছা।
হাত দিয়ে টেনে দেখতে ইচ্ছে করে আসল কিনা, সন্দেহ হয় টান দিলে হয়ত খুলে আসবে হাতে।
সস্তা শ্যাম্পুর গন্ধে সামান্য ঘরখানি ভরেছিল মনে হচ্ছিল নীপাদির রুপে সামান্য
নিম্নবিত্ত ঘরখানি রাজমহলে পরিনত হয়েছে। অবাক হয়ে নীপাদির দিকে কয়েক মুহূর্ত
তাকিয়ে থাকার পর চোখ সরিয়ে নিলাম। নীপাও বোধায় বুঝল ব্যাপারটা তাড়াতাড়ি চুলের
গোছাটা ছুড়ে দিল পিছনদিকে। আমি সামলে নিয়ে বললাম করেছ কি বৌদি। দাদাকে এই শরীরে
বাইরে যেতে দিলে? নীপা যেন একটু লজ্জা পেয়ে বলল তোমার দাদা কি আমার কথা শোনে? একটু
সুস্থ হয়েছে কি আবার চরকিবাজি শুরু। আমি বললাম ওসব একদম চলবে না। দাদাকে বলে দাও।
নীপা হাসল তারপর ভেতরে চলে গেল রান্নাঘরের দিকে। আমি কাল সপ্তাহের বাজার করে
আনলাম। নীপা তখন কিছু বলেনি। ন্যাপলাদা স্নান করতে ঢুকতে আমার কাছে এসে চুপিচুপি
এসে দাঁড়াল। আমি ন্যাপলা দার ছেলের সঙ্গে খেলছিলাম। আমার কাছে এসে ছেলেটিকে কি এক
বাহানায় বাইরে খেলতে পাঠিয়ে দিয়ে আমার সামনে এসে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল। আমি বড়
অপ্রস্তুত বোধ করে জিগ্যেস করলাম কাঁদছ কেন বৌদি? ও বলল ভগবান তোমায় পাঠিয়েছে ঠাকুরপো।
নিজের পেটের ভাই এত করেনা তুমি ওর জন্যে যা করছ। আমি মাথা নিচু করে রইলাম। ও বলেই
চলল, তোমায় কি দিয়ে শোধ করব জানিনা। তবে এতটা যখন করেছ তখন আরেকটা উপকার করে দাও।
আমায় একটা কাজ খুঁজে দাও। ওর এই দশ মাস চাকরি নেই। কি করে সংসার চলছে আমি জানি। যা
হোক একটা কিছু। আমি বললাম বৌদি আমি তো ফিল্ম লাইনের লোক ওই লাইনের সব কাজ কি তুমি
পারবে? আচ্ছা দেখবো কি করা যায়। তুমি চিন্তা কোরও না। আর একটা কথা বলব বৌদি? নীপা
অপ্রস্তুত হয়ে বলল ওমা বল না। আমি এতক্ষন ধরে যে কথা গুলো চেপে রেখেছিলাম হরহর করে
বলে দিলাম। প্রথমে ওর রূপের একগাদা সত্যি মিথ্যে প্রসংসা করে চুলের প্রসঙ্গ তুললাম। তোমার চুল যে এত সুন্দর
আগে লক্ষ্যই করিনি। নীপা
দেখলাম কোনও রকম অপ্রস্তুত তো হলই না বরং মনে হল বেশ সচ্ছল ভাবেই কথোপকথন এগোতে চাইছে। ও বলল আর বোলো না। এতদিন ভালোই ছিল এখন রাফ
হতে শুরু করেছে আর অত যত্ন ও হয় না। ভাবছি কেটেই ফেলি। আমি শিউরে ওঠার ভান করে বললাম খবরদার না। এতো সুন্দর চুল কেও কেটে
ফেলে? তুমি পরিচর্যা করো। কিছু লাগলে আমায় বোলো। নীপা হাসল। আমি এবার সাহস করে বলেই
ফেললাম, বৌদি তোমার চুলে হাত দিতে পারি? এতো
সুন্দর চুল আমি আগে দেখিনি। আমার
হাত দিয়ে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে। নীপা
একটু হেসে বলল দাও না। তবে আমায় বৌদি না বলে নীপা বললে বেশি খুশি হব। আমি তোমার চেয়ে
বয়সে ছোট না হলেও বড় অবশ্যই নই। এরপর আমার দিকে পিছন
করে মাথাটা অল্প পিছনে হেলিয়ে বলল হাত দাও। আমি দু হাত সবে মাত্র ওই চুলের গোছার দিকে
বাড়িয়েছি ওমনি বাথরুমের দরজা খোলার আওয়াজ হল। তাড়াতাড়ি হাত সরিয়ে নিতে হল। আর কোনও
কথা হল না।
৩
এরপর ন্যাপলা দা ও একটু সুস্থ হয়ে উঠতে লাগল। নীপা কেও আমাদের কোম্পানির
ক্যান্টিনে একটা কাজ যোগাড় করে দিয়েছিলাম। মোটামুটি যা মাইনে পেত তাই থেকেই জমিয়ে ন্যাপলাদাও একটা চায়ের
দোকান খুলল। বছর
দুয়েকের মধ্যে ওদের অবস্থা অনেকটা সামলে উঠল। আর আমার সঙ্গে ওদের বিশেষ
করে নীপার সম্পর্ক অনেক সহজ হয়ে উঠেছিল। এমন অনেক কথা যেগুলো অ ন্যাপলা দা কেও বলতে পারতো না সেগুলো
আমায় বলত। পরামর্শ
চাইত। কিম্বা
অভিযোগ জানাত। মাঝেসাঝে
আমার ফ্লাটেও আস্ত কাজ থেকে ফেরার রাস্তায় একসঙ্গে আসতাম। সব সময় বোধায় ও ন্যাপলাদাকেও
জানাত বলে আমার মনে হয় না। প্রায়
প্রতি সপ্তাহেই একবার করে আমার ফ্লাটে আসত। ঘর টর গুছিয়ে পুরনো জামা কাপর টুকটাক কেচে ধুয়ে দিত। বারন করলেও শুনত না। তেমনি এক শনিবার তারাতারি
ছুটি হওয়াতে দুজনে গল্প করতে করতে বেরিয়ে কখন আমার ফ্লাটে পৌঁছে গেছি আমি বুঝতেই পারিনি। নীপাকে বললাম এসো ভিতরে। ও বলল না আজ বড্ড মাথা
ধরেছে। আজ আর
যাব না। বললাম
তাহলে তোমায় বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসি? ও বলল
তার নাকি প্রয়োজন নেই। সকালে
অনেক ভোরে ওঠা হয়েছে। ভিজে
চুলে খোঁপা করে কাজে যাওয়া তাতেই মাথা ধরেছে। ভিজে চুলের কথাটা উঠতেই
আমার লোভ হল। আমি
ওকে একরকম জোর করেই যেতে দিলাম না। বললাম আমার ফ্ল্যাটে একটা ওষুধ আছে। মাথা ব্যাথা না সেরে উপায়
নেই। দেখলাম
ও বিশেষ কোনও আপত্তি করল না। হেসে
বলল চলো। দেখি
তোমার কি ওষুধ আছে। ওকে
ঘরে এনে বসতে বলে রান্নাঘরে গিয়ে খুব কড়া করে দু কাপ চা করে এনে বললাম নাও। ও খুব একচোট হেসে নিয়ে
বলল এই তোমার ওষুধ? আমি বললাম না এটা ওষুধের অর্ধেক। ও কিছু না বুঝে বলল, মানে? আমি
একটু রহস্য করে বললাম মানে আজ তোমার মাথায় ব্যাথাও সারবে আর আমার বহুদিনের একটা
সাধও পুরন হবে। ও কিছু বুঝল না। আমি উঠে ওর পিছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। ও একটা উঁচু
চেয়ারে বসেছিল। ওর চুল মাথার পিছনে খোঁপা করা। খোঁপা টা কাপড়ে ঢাকা। ওটাই ওর অফিস যাওয়ার সাজ। আমি একটা গামছা টেনে নিয়ে
ওর খোঁপার ওপর থেকে কাপড় টা সরিয়ে কাঁধে গামছা টা ঢেকে দিয়ে বললাম, রিলাক্স। চা
খাও। বলে ওর কাঁধে ম্যাসাজ করা শুরু করলাম। দেখলাম ও বেশ আরাম পেয়েছে। প্রায় মিনিট
দশেক কাঁধ ম্যাসাজ করার পর আমি ওর খোঁপায় হাত দিলাম। প্রথমে একটু অপ্রস্তুত হয়ে
সোজা হয়ে রইল। আমি কোনও রকম অস্বস্তি প্রকাশ না করে খোঁপাটা খুলতে খুলতে বললাম
সেবার আমার তোমার চুলটা নেড়ে চেড়ে দেখার ইচ্ছে পুরন হয়নি, আজ সুযোগ এসেছে, আজ
তোমায় পৃথিবীর সেরা হেড ম্যাসাজ দেবো, বলে খোঁপাটা খুলে দিলাম। নীপার চেয়ার টা বেশ
উঁচু তবু ওর ঘন চুল ভালো ভাবেই মেঝে ছুঁয়েছে। প্রায় লুটানোই বলা চলে। তবে মাঝে
সাঝে শ্যাম্পু করা ছাড়া আর যে কোনও যত্ন হয় না সে দেখলেই বোঝা যায়। ও একটু চমকে
উঠেছিল, মৃদু আপত্তি করল, কি পাগলামি করছ? কে এসে পড়বে...। আমি বললাম আমার ফ্ল্যাটে কেও আসবে না তুমি খুব ভালো করে জানো। তবু যদি কেও
আসে তাহলে সে নিশ্চয়ই ভিতরে ঢুকবে না। সুতরাং ভিতরের ঘরে গেলে আর তোমার আপত্তির
কারণ থাকে না। আর যদি তুমি চাও আমি তোমার চুলে হাত না দিই তাহলে অন্য কথা, ও
তারাতারি আমায় থামিয়ে দিয়ে বলল না না তুমি আমার চুলে হাত দিলে আমার আপত্তি কেন
থাকবে। দামী পার্লারে তো অচেনা ছেলেরা মেয়েদের চুলে হাত দেয়। আর তুমি তো আমাদের
এতো কাছের লোক। আমি বললাম তবে আপত্তি কেন করছ? এসো ভিতরের ঘরে। ভিতরের ঘর টা আমার
শোয়ার ঘর। এমনিতেও ঘরে খাট পাতার পর বিশেষ জায়গা নেই। তাই আমি বিছানাতেই বসলাম। আর
নীপা কে বসালাম একটা বেতের আরাম চেয়ারে আমার দিকে পেছন করে। আর ওর চুল নিলাম আমার
কোলে। কিন্তু
প্রথম প্রথম ওর যেন অস্বস্তি হচ্ছিল, কিছুক্ষন পর দেখলাম শরীর টা এলিয়ে দিয়ে আয়েস
করে ম্যাসাজ নিতে লাগল। অত ঘন আর অত লম্বা চুল যে এত ভারী হয় সেটা যারা চুল নাড়াচাড়া
করে তারা জানে। চুলের গোঁড়া তখনও ভিজে। আমি ওকে বললাম তোমার মাথায়
যন্ত্রণা হওয়া স্বাভাবিক। তোমার চুলের গোঁড়া এখনও ভিজে। ও চোখ না খুলেই বলল হু, কি করি বল । তুমি তো বারণ করেছ, নাহলে কবেই সব কেটে ফেলতাম। এদিকে আমার অবস্থাও বলে
বোঝানোর নয়। চুল কেটে ফেলার কথায় বুক ধরাস করে উঠল, বুঝলাম ইয়ার্কি করছে। আমিও বললাম তাই বলে ভিজে
চুল কেও জড়িয়ে রাখে? খুলে দিতে পারো। ও বলল তাতে নাকি কাজ করতে অসুবিধে হয়। আর কাজে
লোকেরা তাকিয়ে থাকে। আমি হেস বললাম সে তো তাকাবেই। তোমায় দেখতে তো মন্দ নয়। তার
ওপর তোমার চুল। তার চেয়ে এক কাজ করা যাক আমিই বরং তোমার চুল কেটে ফেলি। বল কতটা
কাটব। কথাটা ইয়ার্কি করে বলেছিলাম। দেখলাম ও নির্বিকার ভাবেই উত্তর দিল যতটা কাটলে
আর খোঁপা না করতে হয়। আমি ইয়ার্কি করে বলেছিলাম। কিন্তু এরকম উত্তর পেয়ে আর
সামলানো যায় না। ঘর খুজে একটা চিরনি আর কাঁচি যোগাড় করতে লেগে গেলাম। আমার খোজা
খুজি তে ও উঠে বসে দেখলাম জিগ্যেস করল কি খুঁজছি। বললাম কাঁচি। এবার দেখলাম ও ভয়
পেয়েছে। বলল এমা আমি তো ইয়ার্কি করলাম। আমি এবার সুজোগ পেয়ে বললাম তাবোলে তো হয়
না। দেখলাম ও সত্যি খুব ভয় পেয়েছে। বার বার বলতে লাগল, আজ না। অন্য একদিন। অনেক
কাকুতি মিনতি তেও যখন কাজ হচ্ছে না তখন দেখলাম ও চুপ করেছে। ইতিমধ্যে আমি ঘর খুঁজে
শুধু চিরুনি কাঁচি ই না একটা হেয়ার ড্রায়ার ও যোগাড় করে ফেলেছি। সেসব এনে ওর কাছে
রেখে বললাম, বলো কাটবো কি কাটবো না। শেষবারের জন্যে জিগ্যেস করছি। ও এবার বুঝল আমি
ইয়ার্কি করছিলাম। খুব লজ্জা পেয়ে বলল, আর একটু ম্যাসাজ দাও না। বিশেষ করে ঘাড়ের
কাছটা। খুব আরাম হচ্ছিল। আমি চিরুনি কাঁচি সব সামনে রেখে আবার ওর পিছনে এসে বসে
ওকে ম্যাসাজ দিতে দিতে বললাম আরাম হচ্ছে? ও খুব আয়েশ করে বলল হুউউ খুউউব। আরও
খানিক্ষন ম্যাসাজ দেওয়ার পর বললাম তোমার চুল অনেক বেশী লম্বা। দাঁরাও দেখি। ও উঠে
দাঁড়াল। দেখলাম প্রায় ওর পাছা পেরিয়ে থাই এর মাঝামাঝি। বললাম, দেখো। অত বড় কিন্তু না থাকলেও চলে। বলল তুমি
তো দেখছি আমার চুল না কেটে আজ রেহাই দেবে না। আমি বললাম, তা নয় নীপা, তোমার চুলটার
অবস্থা দেখেছ? অত সুন্দর চুল, এমনিতেই ডগাটা একটু কাটলে দেখতে ভালো লাগে, আর তোমার চুলের যা লেংথ কোমরের নিচে অব্দি কাটলেও লম্বাই
থাকবে। খোঁপা করতে কোন অসুবিধে হবে না। শুকোতেও অসুবিধে হবে না।
দেখলাম ও একটু মেপে নিয়ে চোখ গোল গোল করে বলল অতটা? তারপর দুঃখী মুখ করে আবার
চেয়ারে বসে পড়ল। আমি আরও বোঝানোর জন্যে কিছু বলতে যাচ্ছিলাম তার আগেই ও বলে উঠলো,
দাও, কেটে দাও, থেকেই বা কি হবে। আমি এবার পেয়ে বসলাম। আমার বুক ধরাস ধরাস করছে।
স্বপ্ন দেখছি না তো? ছোটবেলা থেকেই আমি চুল পাগল। ইন্টারনেটে চুল কাটার কত ভিডিও
দেখেছি, ভাবছিলাম শুধু ডগা কেটে ছেড়ে দেবো? না আরও কিছু করবো? তারাতারি একটা
প্ল্যান করে নিলাম। নীপা আবার জিগ্যেস করল, কি গো কি করতে হবে? আমি বললাম তোমায়
কিছু করতে হবে না। বসো, আমি আনছি। নীপার চুল ততক্ষনে শুকিয়ে গেছিল। আমি আর ভেজালাম
না ইচ্ছে করেই। শুকনো ই কাটতে বেশি মজা। শুধু এতক্ষন ওর চুল আমি যে পরিমান ঘেঁটেছি
চুল ওলট পালট হয়ে আছে। ভালো করে আঁচড়াতে হবে। তার আগে আমার একটা আইডিয়া এসেছে। আমি
ওর চুল ভালো করে আঁচড়ে তারাতারি মোবাইল ক্যামেরায় কটা ছবি তুলতে থাকলাম ওর আর ওর
চুলের। ও তো হেসেই অস্থির। আমার ভিতরের উত্তেজনা টা ও বেশ বুঝতে পারছিল। এবার
কাটার পালা। আমার কাঁচি তুলে নেওয়ার সময় দেখলাম ওর মুখ রীতিমত শুকিয়ে গেছে। এবার
ওর উত্তেজনাটা আমি বুঝতে পারছিলাম। চুলটা ভালো করে আঁচড়ে কোমরের নিচে একটা রাবার
ব্যান্ড দিয়ে একটা মাপ করলাম যাতে কাটার পর গোছাটা নষ্ট না হয়। প্রথম স্নিপ
আওয়াজটায় দুজনেরই হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে এলো প্রায়। চোখের নিমেষে গোঁড়ায় রাবার
ব্যান্ড আঁটা চুলের গোছাটা আলাদা হয়ে এলো। আর নীপার পাছা ঢাকা চুল পাছার ওপর অব্দি
উঠে এলো। কাটা চুলের গোছাটা খাটে রাখলাম। পরে মেপে দেখেছিলাম সেটার লেংথ বাকি লেংথ এর প্রায় অর্ধেক। একটা
জিনিস বলতেই হয়, যে অতটা চুল কেটে ফেলার পরেও নীপার চুল যথেষ্ট লম্বা। ও গোছাটা
নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখেছিল, আমি ওকে সেটা নিতে দিই নি। ওটা আমার কাছেই আছে। এরপর ওকে
জিগ্যেস করলাম, লেয়ার কাটবে? না ইউ শেপ? এমনিতেই ওর প্রায় কাঁদো কাঁদো অবস্থা। তার ওপর আরও কাটার
কথা শুনে ও হাঁ হাঁ করে উঠল। আর কেটো না প্লিজ। আর ছোট কোরও না। আমি ঠিকাছে বলে ওর
চুলের ডগাটা সমান করতে যাবো ও আরেকবার সিউরে উঠে বলল আবার কাটবে? ভাবটা যেন ও আমার বন্দী আমি
যা বলব ওকে শুনতেই হবে। আমি এক ধমক দিয়ে বললাম চুপটি করে দাঁড়াও। তোমার চুল আর ছোট
করিনি, শুধু ডগাটা সমান করে দিচ্ছি। বেশি ভয় পেলে সত্যি সত্যি কেটে দেবো একবারে
ঘাড় অব্দি। ও ভয়ে কোনও কথা বলল না। আমি ওর চুলের ডগা নিখুঁত সমান করে দিলাম। তবে
ওখানেই শেষ নয়। এতক্ষন ও দাঁড়িয়ে ছিল আর আমি ওর পিছনে বসে ওর চুল কাটছিলাম, এরপর
ওকে চেয়ারে বসিয়ে একরকম
জোর করেই ওর মাথার সামনের কপালের ওপরের মাথার তালু অব্দি চুল সামনের দিকে আঁচড়ে
পার্ট করে ব্যাং কাট করে দিলাম চোখ অব্দি। ওর সামনের কপালের দুপাশের চুলের গোছা দু
চোখের পাশে এসে পড়ে কপাল টাকে সুন্দর সেপ দেওয়াতে ওকে কি অদ্ভুত সুন্দরি (পরুন
সেক্সি) দেখাচ্ছিল সেটা বলে বোঝানো যায় না। চুল কাটার পরের ওর ছবি তুলে রেখেছিলাম
কটা মোবাইল ক্যামেরায়। সেগুলোর কথায় পরে আসছি। কিন্তু সব শেষ হওয়া অব্দি ও আর কোনও
কথা বলেনি। সব হয়ে যাওয়ার পর ও অভিমানের সুরে বলল, শান্তি? ওর চুলের যা অবস্থা ছিল
তাতে প্রায় অর্ধেকের বেশী চুল আমি কেটে ফেলেছিলাম। ফলে চুল শুকোনো কোনও অসুবিধে
ছিল না। সেদিনই ওকে শ্যাম্পু করিয়ে ড্রায়ারে চুল শুকিয়ে যখন ঘর পরিস্কার করে সমস্ত
শেষ হল ততক্ষনে বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যে হয়ে গেছে। নীপাকে একদম অচেনা দেখাচ্ছিল।
পিছনে নিখুঁত করে কাটা পাছা অব্দি লম্বা চুল আর সামনের চুল ওর চোখ ঢেকে দিচ্ছিল,
অই সামলাতে ও হিমশিম খাচ্ছিল। প্রথমে একটু বিরক্ত হয়ে বলল কি করলে বলতো, তোমার
দাদাকে এবার কি বলব? আমি বললাম বলবে অসুবিধে হচ্ছিল তাই কেটে ফেলেছ। এরপর ওকে আয়নার
সামনে দাঁড় করাতে দেখে শুনে বলল তুমি পার্লার খোলো না কেন? দারুন চলবে। আমি বললাম
তাহলে এবার থেকে পার্লারে যেতে হলে আমায় বোলো। দুজনেই হাসলাম। ও তাড়াতাড়ি পিছনের
চুল বেণি করতে করতে বলল, কতটা কেটে দিলে...। আমি বললাম এতো কিছু না, পরের বার পিঠ
অব্দি কাটবো এখন থেকে বলে দিলাম। ওকে ওর বাড়িতে পৌঁছে দিতে গিয়ে আরেক কান্ড।
ন্যাপলা দা তো অবাক। সেদিন ওদের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করে ফিরতে ফিরতে রাত হয়েছিল।
এসে বিছানায় শুয়ে পরেছিলাম, পরের দিন আবিষ্কার করেছিলাম নীপার কাটা চুলের গোছাটা
সারারাত আমার শরীরের সঙ্গে লেপ্টে ছিল।
Subscribe to:
Posts (Atom)